তাফসির মাহফিলের নামে দলীয় সভা করছে জামায়াত: হারুন

৪ সপ্তাহ আগে
তাফসীর মাহফিলের নামে জামায়াত বিভিন্ন জায়গায় দলীয় সভা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার টাউন স্কুল মাঠে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


হারুনুর রশীদ বলেন, জামায়াতের মৌলভীদের দেখছি, বিভিন্ন জায়গায় তাফসির মাহফিলের নামে দলীয় সভা করছে। এটা৷ মুনাফেকি, এটি জনগণের সাথে প্রতারণা। তাফসির করবেন, সেখানে কোরআন হাদিসের আলোকে আলোচনা করবেন৷ কিন্তু তারা তাফসির করতে গিয়ে, উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলছে, কারা কারা ইসলামের পক্ষে আছেন। এরপর বলা হচ্ছে, কারা কারা বুলবুল ভাইয়ের পক্ষে আছেন। এমন কর্মকাণ্ড মুনাফেকি ছাড়া কিছুই না। আবার তাফসির মাহফিলে হারুন এমপি, মির্জা ফখরুলকে নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে। এ ধরনের বক্তব্য যারা দিচ্ছেন, এমন বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকুন।


তিনি বলেন, আমার গ্রামের বাড়ির কাছের জায়গায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাফসির করতে আসবেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারী। দেশে তার অনেক ভক্ত ও তিনি বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ। এনিয়ে এক মাসব্যাপী প্রচার চলছে, এক মাসব্যাপী চাঁদাবাজিও চলছে। এই তাফসির মাহফিলের নামে ব্যাংক, বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা, মানুষের বাড়িতে বাড়িতে চাঁদাবাজি চলছে।


বিএনপির সাবেক এই এমপি বলেন, আমি মিজানুর রহমান আজাহারী ভাইকে অনুরোধ করব, আপনি এসবের হিসাব নিবেন৷ জামায়াতের বিভাগীয় সমাবেশ করবেন, তা তাফসির মাহফিলের নামে কেন? ওই তাফসিরের সভাপতিত্ব করবেন, জেলা জামায়াতের আমির আবু জার গিফারী, প্রধান অতিথি থাকবেন, জামায়াত নেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল। মানুষ এতো বোকা নয়, এসকল বিষয় নিয়ে জনগণ সজাগ আছে।


আরও পড়ুন: ঢাকার মাহফিলে আসুন, দেখা হবে, কথা হবে: আজহারী


এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট গণহত্যার অপরাধে আ.লীগের বিচার ও দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হারুনুর রশীদ আরও বলেন, গত ৫ আগস্টের পর দায়িত্ব নিয়েছে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার। এ সরকারকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু দিনের পর দিন আমরা হতাশ হচ্ছি। গতকাল দেখলাম, দেশের ছাত্র-জনতা শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা, বেগম ফজিলাতুন্নেছার ম্যুরাল ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করেছে। এর দায় বর্তমান সরকারকে নিতে হবে। কারণ দায়িত্ব নেয়া ৬ মাস হয়ে গেল, এরপরেও কেন দেশে শেখ মুজিবের ম্যুরাল থাকবে? কেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো হাসিনার প্রেতাত্মাদের নাম রয়েছে?


হারুন বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে এখনো তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তারা পালিয়ে গেছে, আত্মগোপন আছে, এতে কোনো আত্মতৃপ্তি নেই৷ জনগণ চাই, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের মুখোমুখি করা হোক। আমরা হাতে আইন তুলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাই না। কিন্তু সরকার যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সরকারে যারা আছেন ও আমরা যারা রাজনীতি করি তারা কেউই নিরাপদে থাকতে পারব না। সরকার যদি এক্ষেত্রে নীরব থাকে, তাহলে দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা ব্যাহত হবে। বাংলাদেশ একটি অকার্যকর দেশে পরিণত হবে। ডা. ইউনূসের কাছে আহ্বান থাকবে, যত দ্রুত সম্ভব দেশে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হোক।


নির্বাচন নিয়ে সরকারের কোনো আগ্রহ ও উৎসাহ আছে কি না, তা প্রতীয়মান হচ্ছে না বলে মন্তব্য করে করেন। এ সময় তিনি আ.লীগের নেতাকর্মীদের উচ্ছৃঙ্খল বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।


সাবেক কাউন্সিলর মাসিদুল হক নিখিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তবিউল ইসলাম তারিফ, সদর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব তাসেম আলীসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন