রাজধানীর মিরপুর, বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের ইপিজেড, কক্সবাজারের বিশ্ববিদ্যালয়- একের পর এক অগ্নিকাণ্ডে চোখের সামনেই পুড়ে ছাই সব। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর চিরচেনা অধ্যায় আর্থিক সহায়তা আর তদন্ত কমিটি গঠন। কিন্তু আদালতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এসব ঘটনায় হওয়া কোনো মামলাই নিষ্পত্তি হয়নি।
বিচারপ্রক্রিয়ায় এমন অনিশ্চয়তায় বিচারের আশা হারিয়ে ফেলছেন ভুক্তভোগীরা। চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের মামলার বাদী আসিফ আহমেদ বলেন, এত বছর পরেও মামলার রায় পাইনি। আসামিরা ওপেন ঘুরছে। যা ভয় বাড়াচ্ছে।
২০১৯ সালে চকবাজারের চুড়িহাট্টা ও বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের মামলা আদালতে এখনো বিচারাধীন। একই অবস্থা ২০২১ সালে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের মামলাও। ২০২৪ সালে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুনের মামলার তদন্ত শেষ হয়নি এখনো।
আরও পড়ুন: একের পর এক আগুন: পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে বিদেশে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা নয় তো?
২০২১ সালে মগবাজারের 'রাখি নীড়' ভবনের বিস্ফোরণের মামলায় এখনো গ্রেফতার হয়নি কেউ। তবে বিচারকাজে কিছুটা এগিয়ে আছে ২০১২ সালে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের মামলা। গার্মেন্টস মালিকসহ ১৩ জনের বিচার শুরু হলেও মামলা আটকে আছে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমন ফারুক ফারুকী বলেন, অনেক মামলাতে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন সহযোগীরা জড়িত ছিল। যার ফলে তারা সাক্ষীদেরকে বিভিন্ন সময় ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। ফলে অনেক সাক্ষীই সাক্ষ্য দিতে আসে না। তবে সাক্ষীদের আদালতে হাজির করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলাগুলো শেষ করার চেষ্টা চলছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলছেন, দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিচারের আওতায় না আনার কারণেই এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। কারণ দুর্ঘটনা হলে সেখানে অবশ্যই কারও না কারও দায়িত্বে অবহেলা ছিল। রয়েছে নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টিও। অনিয়ম-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে মামলাগুলো প্রকৃত বিচার মিলছে না।
দেশে চলমান অগ্নিকাণ্ডে কারও ষড়যন্ত্র থাকলে তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকারকে দাঁড়ানোর পরামর্শও দেন এই আইনজীবী।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৪








Bengali (BD) ·
English (US) ·