নিয়ম হল প্রথমে হাজারে আসওয়াদ (কালো পাথরের) কাছে যাওয়া। ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে এ পাথরকে চুমু দিয়ে তাওয়াফ শুরু করা। কিন্তু রমজান ও হজের মৌসুমে প্রচণ্ড ভিড় থাকে। বয়স্ক, বৃদ্ধ ও মহিলাদের জন্য পাথর চুম্বনের কাজটি প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
অনেকে জানতে চান, তাওয়াফ শেষে কাবার দিকে পিঠ দিয়ে বের হওয়া যাবে কি?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, কাবার আশেপাশে নামাজ বা তাওয়াফ শেষে কাবার দিকে পিঠ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে বের হওয়া যাবে। অনেকে এভাবে বের হওয়াকে শিষ্টাচার বহির্ভূত মনে করেন। তারা কাবার দিকে পিঠ না দিয়ে পেছন দিকে হেঁটে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এটা অপ্রয়োজনীয় ও ভিত্তিহীন কাজ।
আরও পড়ুন: এক রসুল প্রেমিকের বিস্ময়কর গল্প
পবিত্র কোরআন বা হাদিসে এ রকম আদবের কোনো নির্দেশনা নেই। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবিদের মধ্যে কাবার প্রতি এভাবে আদব দেখানোর প্রচলন ছিল না। তাই পেছন দিকে হাঁটতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে বের হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: বদর যুদ্ধে সন্তানের শাহাদাতের খবরে আনন্দিত হয়েছিলেন যে মা
তাওয়াফ করা অবস্থায় খুব বেশি বেশি জিকির, দোয়া ও তাওবা করতে হয়। এ সময় কোরআন তিলাওয়াতও করা যায়। নিজ ভাষায় নিজের মনের কথাগুলো আল্লাহর কাছে বলা এবং মিনতি সহকারে কিছু চাওয়া যায়। দলবেঁধে সমস্বরে জোরে জোরে দোয়া করে অন্যদের দোয়ার মনোযোগ নষ্ট করা উচিত নয়। আরবিতে দোয়া করলে এগুলোর অর্থ জেনে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে, যাতে আল্লাহর সাথে আপনি কী বলছেন তা যেন হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যায়।