তফসিল চূড়ান্ত, আপাতত বিদেশে নেওয়া হচ্ছে না খালেদা জিয়াকে

২২ ঘন্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় সোমবারের (৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত কিছু খবর নিচে তুলে ধরা হলো।

আপাতত বিদেশে নেওয়া হচ্ছে না খালেদা জিয়াকে- দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার সংবাদ এটি।


এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর সাম্প্রতিক সিটিস্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো এসেছে বলে মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে আপাতত বিদেশে না নিয়ে দেশেই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বোর্ড ভাবছে, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়া আগের তুলনায় সুস্থ এবং দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি তিনি আস্থাশীল। শারীরিক অবস্থার উন্নতির ওপর নির্ভর করে সিসিইউতে থাকার সময় নির্ধারিত হবে।

খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে এসে হাসপাতালে চিকিৎসার সমন্বয় করছেন। পরিবারের সদস্যরাও পাশে রয়েছেন। বিএনপির নেতারা জানান, কাতার আমিরের সৌজন্যে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত আছে; মেডিক্যাল বোর্ড পরামর্শ দিলেই সেটি ব্যবহৃত হবে।


বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলেই তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হবে, যদিও বর্তমানে তিনি আগের তুলনায় ভালো আছেন।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। ২৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং পরে তাঁকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সরকার তাঁকে ‘ভিভিআইপি’ ঘোষণা করে এসএসএফের নিরাপত্তা প্রদান করেছে। এভারকেয়ারের ১২ সদস্যের বোর্ডের সঙ্গে যুক্তরাজ্য ও চীনের বিশেষজ্ঞরাও যুক্ত হয়েছেন। শুরুতে তাঁকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পরে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তা স্থগিত রাখা হয়।


জুলাই আন্দোলনে আদালতে অভিযোগ, প্রমাণ মেলেনি ৫৬ শতাংশ মামলার- দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার সংবাদ এটি।


এই প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের ঘটনার তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যে সিআর মামলা নিয়েছে, তাতে ব্যাপক ভুয়া বাদী ও ভুয়া আসামির হদিশ মিলেছে। পিবিআই বলছে ১৯২টি সিআর মামলা (হত্যা ২৯, অন্যরা ১৬৩) তদন্তে ৭৮টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে; এর মধ্যে ৩৪টি প্রমাণিত, আর ৪৪টি অপ্রমাণিত/আপস/প্রত্যাহার—অর্থাৎ মোট মামলার প্রায় ৫৬% প্রমাণ হয়নি।


বহু মামলার বাদী, সাক্ষী ও নাম-ঠিকানা পিবিআই খুঁজে পায়নি; অনেক আসামিই কখনও ঢাকায় যায়নি। উদাহরণ: মিরপুরের সিআর নং ৮৯০/২০২৪ মামলার বাদী মো. আব্দুল আজিজের নাম-ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয় জাল; সাক্ষীরাও ভুয়া। যাত্রাবাড়ীর একটি মামলায় ২৫৩ আসামির মধ্যে ২৩৩-এর নাম বাদ পড়ে; অর্থাৎ ৮৪% ভুয়া। পিবিআই প্রধান মো. মোস্তফা কামাল জানান, তদন্তে যারা সম্পৃক্ত নেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না এবং সাধারণ মানুষ যেন হয়রান না হন সেজন্য চেষ্টা চলছে।


আরও পড়ুন: গুমের মামলা: সাবজেল থেকে ট্রাইব্যুনালে সাবেক তিন সেনাকর্মকর্তা

 

আইনজীবীরা মিথ্যা মামলা করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। পুলিশ ও সরকার কিছু ক্ষেত্রে ভুয়া আসামি নাম বাদ দেওয়া ও গ্রেফতারিতে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নিয়েছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী দেশে এখন পর্যন্ত জুলাই ঘটনায় ১,৭৮৫টি মামলা, যার মধ্যে চার্জশিট ১০৬টি, এবং ৪৩৭টি ক্ষেত্রে ২,৮৩০ জনকে অব্যাহতির জন্য প্রতিবেদন দাখিল।


তফসিল চূড়ান্ত- দৈনিক মানবজমিনের প্রথম পাতার সংবাদ এটি।


এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা হবে বলে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসি সূত্র জানায়, ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা এবং ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য দিন নির্ধারিত হয়েছে। একই দিনে জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সকাল ৭:৩০ থেকে বিকেল ৪:৩০ পর্যন্ত করা হয়েছে।

বুথ সংকট মোকাবিলায় প্রতিটি কক্ষে একাধিক গোপন বুথ স্থাপন ও প্রয়োজন হলে অস্থায়ী বুথ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পোস্টাল ব্যালট এবার প্রথমবারের মতো কার্যকর হচ্ছে। বিদেশে পাঠানোর পোস্টাল ব্যালটের মুদ্রণ শুরু হবে দ্রুত, আর দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের সময় থাকবে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ১৫ দিন।


ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সামগ্রী আগের রাতেই কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলে ইসি জানিয়েছে; তারা নিশ্চিত করেছে যথাযথ তদারকি থাকবে।

নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসক–পুলিশ সুপারদের সঙ্গে জুম মিটিং, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোতায়েন বিষয়ে পরিপত্র, সেন্ট্রাল মনিটরিং সেল গঠন এবং ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটিকে আরও ক্ষমতায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


তফসিল ঘোষণার পর প্রতিটি উপজেলা/থানায় দু’জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন।

ইসি সভার পর সিইসি নাসির উদ্দিন ও কমিশনাররা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন