ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৩ কিমি যানজট, ভোগান্তিতে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা

২ সপ্তাহ আগে
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যমুনা সেতু পূর্ব প্রান্ত থেকে আশেকপুর পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটারজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা।

বুধবার (৪ জুন) দিন শেষে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ার পর থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ দ্বিগুণ হয়ে যায়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। রাতভর যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চললেও ভোর থেকে চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফলে যমুনা সেতু পূর্ব পাড় থেকে আশেকপুর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

 

উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা জানান, তারা গতকাল সন্ধ্যায় গাড়িতে উঠেও টাঙ্গাইল পৌঁছাতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লেগেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

 

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৩ কিমি যানজট। ছবি: সময় সংবাদ

 

দিনাজপুরগামী যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রাত ৯টায় গাড়িতে উঠেছি। ১০ ঘণ্টা পরে টাঙ্গাইলে এসেছি। তারপর সকাল ৬টা থেকে আবার গাড়ি বন্ধ। খাওয়া নাই, ঘুম নাই, গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে।’

 

মালয়েশিয়া প্রবাসী রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমি রাজশাহী যাচ্ছি। গতকাল এয়ারপোর্টে নেমে মাইক্রোবাস ভাড়া করে রওনা হয়েছি। ১২ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল এসেছি। কখন বাড়ি পৌঁছাব, বুঝতে পারছি না।’

 

আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি / সাভারের দুই মহাসড়কে ১৫ কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের ধীরগতি

 

চালকরা জানান, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপেই এই যানজট তৈরি হয়েছে। তারা বলেন, দুদিন ধরে ঠিকমতো খাওয়া-ঘুম করতে পারিনি। এভাবে গাড়ি চালানো খুব কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

 

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহাসড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তারা যানজট নিরসনে কাজ করছে এবং দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন