বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশত্যাগ করেন তিনি।
বিমানবন্দরে ভিআইপি টার্মিনাল দিয়ে প্রবেশ করে তাকে বহন করা গাড়িটি । এরপর ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিক শেষ করেন তিনি। এসময় তার পরিবারের সদস্যরা তার সাথে ছিলেন।
এর আগে সকাল ৯টায় শাশুড়ি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা থেকে বের হয়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা করেন জুবাইদা রহমান। চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্স ও পুলিশের প্রোটকলে বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
ডা. জুবাইদা রহমানের এবারের দেশ ছাড়ায় ছিল ভিন্নতা। ১৭বছর আগে মামলা নিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন তখনকার পরিস্থিতি ছিলো অন্যরকম। ২০০৮ সালের পর আর দেশে ফেরা হয়নি তার। ৬ মে শাশুড়ি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তিনি।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার তার যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: সর্বশেষ মামলা থেকেও খালাস তারেক রহমান
৬ মে লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা ও পরিবারের সান্নিধ্যে ৪ মাস কাটিয়ে দেশে ফিরেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্রবধূ ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যসহ ১৪ জন। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতার রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। লন্ডন সময় সোমবার (৫ মে) দুপুরে তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে আসেন হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ১৭ বছর ধরে প্রবাসে অবস্থান করা বড় ছেলে তারেক রহমানের জন্য মা এবং স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে বিদায় দেয়া ছিল আবেগের।
এদিকে বুধবার (২৮ মে) জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দেন হাইকোর্ট। ২০২৩ সালের আগস্টে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর আপিলের শর্তে জুবাইদা রহমানের সাজা এক বছর স্থগিত করে সরকার।
১৭ বছর পর গত ৬ মে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন ডা. জুবাইদা রহমান। ১৪ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় জুবাইদা রহমানকে জামিন দেন। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে জুবাইদা রহমানের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এর আগে ১৩ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জুবাইদা রহমানকে আপিলের অনুমতি দেন হাইকোর্ট। এ জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে তার করা আবেদনও মঞ্জুর করেন আদালত।
]]>