জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ সুয়ারেজ ও ড্রেন সংস্কারের কাজ শুরু করলেও তা ধীর গতিতে চলছে বলে অভিযোগ নগরবাসির। তবে চলতি বছরেই এই জনভোগান্তি দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনর প্রশাসক।
নগর ঘুরে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক বি বি রোড। পানিতে ডুবে যায় পথচারিদের চলাচলের ফুটপাতও। জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি হয় বন্যার মতো। এর সাথে ড্রেনের তরল বর্জ্য বের হয়ে রাস্তায় জমে থাকা পানির সাথে মিশে একাকার হয়ে যায়। ফলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষণসহ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: বেহাল ড্রেনেজ ব্যবস্থায় নাজেহাল শরীয়তপুর পৌরবাসী
নগরির দীর্ঘদিনের এই জলাবদ্ধতা ও জনদূর্ভোগ স্থায়ীভাবে নিরসন করতে ইতিমধ্যে নতুন প্রকল্পসহ নানা উদ্যাোগ গ্রহণের কথা জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। বি বি রোডের দুই পাশে পুরনো ড্রেনের সংস্কারসহ নতুন করে সুয়ারেজ লাইন নির্মাণের কাজ চলছে। সাড়ে আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ও চার ফুট প্রস্থ্যের ড্রেনটির গভীরতা হবে আগের চেয়েও প্রায় দ্বিগুণ। কাজটি শেষ হলে ড্রেনের বর্জ্য দ্রুত নিষ্কাশণের পাশাপাশি রাস্তায় আর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
তবে কাজটি ধীর গতিতে চলছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর। বর্ষা মৌসুমের আগেই শেষ করার দাবি করছেন ভুক্তভোগি বাসিন্দারা।
ড্রেন সংস্কারের কাজটি আগামি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ করার সময়সীমা থাকলেও চলতি বছরের মধ্যেই এটি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
সময় সংবাদকে তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩৯ কোটি ব্যয়ে পুরনো ড্রেন সংস্কার করে সাড়ে সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ও চার ফুট প্রস্থ্যের ড্রেন নির্মান করা হচ্ছে। এর গভীরতাও হবে আগের চেয়ে দ্বিগুণ। আমরা আশা করি ড্রেনটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি স্থায়ীভাবে দূর হবে। আগামি পঞ্চাশ বছরেও আর ড্রেনের কাজ করতে হবে না।’
আরও পড়ুন: বন্ধ প্রায় শরীয়তপুরের একমাত্র সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজটি শেষ করার সময়সীমা রয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে এই বছরের মধ্যেই শেষ করা যায়। এজন্য আমরা একটা ওয়ার্ক প্ল্যান তৈরি করেছি। এই ওয়ার্ক প্ল্যানের আওতায় অভ্যন্তরীণ ড্রেনগুলো পরিস্কার করে দিব। যাতে ড্রেনের জমে থাকা বর্জ্য খুব সহজে নিষ্কাশন হতে পারে। সামনে বর্ষা মৌসুমে যে জলাবদ্ধতার আশংকা রয়েছে সেটা আর হবে না। আগামি ফেব্রুয়ারির মধ্যে সময়সীমা থাকলেও চেষ্টা করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নারায়ণগঞ্জবাসি শহরের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাবে। এর স্থায়ী সমাধান হবে।’