এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আব্দুল হাই বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পুলিশকে সাহায্য করে নৌবাহিনীর সদস্যরা। রাতে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা সবাই মাদক কারবারি ও মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত।
এরপর রাত ১২টার দিকে সোনাডাঙ্গা ১নং ফেস এলাকার খালাসি মাদ্রাসার ১নং রোডে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ নাসির হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ডেভিল হান্টে আরও ৫৯১ জন গ্রেফতার
অপরদিকে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, ‘অভিযানের প্রথমদিনে কেসিসি ১নং ওয়ার্ডের সাবেক শাহাদাত মিনাকে মহেশ্বরপাশা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই এলাকার ইউসুফ সর্দারের ছেলে। তার নামে খানজাহান আলী ও খালিশপুর থানায় ভাঙচুর ও মারামারির মামলা রয়েছে। ওইদিন রাতে তাকে খালিশপুর থানায় ভাঙচুর মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর থানায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে কিন্তু উল্লেখযোগ্য কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ডেভিল হান্ট অভিযানে আরও ১৪ জন আটক
এ দিকে রাতে লবণচরা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এদিন রাতে ৩১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক লাভলু খানকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ২০২২ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কাঙ্গালীভোজের খাবার কেড়ে নেয়া মামলার আসামি বলে জানা গেছে।