শখের ছাদবাগানে ডেঙ্গুর প্রজনন ক্ষেত্র। টবে জমে থাকা পানি, প্লাস্টিক ড্রাম কিংবা অব্যবহৃত পাত্রে ভয়ঙ্কর এডিস মশার বিস্তার।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের এমন অনেক বহুতল ভবনে মিলেছে ডেঙ্গুর বাহক এডিসের লার্ভা। এবার বর্ষার আগেই ডেঙ্গুর চোখ রাঙানিতে বেড়েছে আতঙ্ক। নগরবাসী বলছেন, সরকারি উদ্যোগ চোখে পড়ছে না তাদের। এছাড়া সচেতন নন সাধারণ মানুষও।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগে সরকারি নানান পদক্ষেপ চোখে পড়লেও এবার সেটা তুলনামূলক কম। ফলে ক্রমেই ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
যদিও নগর কর্তৃপক্ষের দাবি, মশক নিধনে ওয়ার্ড পর্যায়ে গঠন করা হয়েছে মনিটরিং সেল। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগের চিন্তা করছে উত্তর সিটি করপোরেশন। দক্ষিণের প্রশাসকের কণ্ঠেও একই সুর।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ‘২৫টি ওয়ার্ডকে সিলেক্ট করেছি হটস্পট হিসেবে। সেগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে প্রিভিয়াস ড্যাটা ও রোগীর সংখ্যা অনুযায়ী। এ ২৫টি ওয়ার্ডে ৩৪টি টিম কাজ করবে। এবং প্রতি টিমে ১৫ জন করে সদস্য থাকবে। এদের কাজ হবে সোর্সগুলোকে ফাইন্ড আউট করা।’
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে নতুন আক্রান্ত ১৫১ জন
তিনি আরও বলেন, ‘ছাদ বাগানে যে টবগুলো আছে, সেগুলো তে যদি আমি বিটিআই লার্ভিসাইড দিয়ে তাহলে সেখানে গাছেরও কোনো ক্ষতি হবে না। মশাও জন্মাতে পারবে না। এটা আমাদের একটা নতুন এডিশন। ইনশাল্লাহ আগামী ৩ মাসের মধ্যে এ প্রক্রিয়ায় যাবো।’
ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘মশকের উৎসকে বন্ধ করার জন্য আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দিকে যাচ্ছি। এ প্রক্রিয়া জনগণকে সচেতন করা হবে এবং একই সঙ্গে কিছুটা হলেও আইনের আওতায় আনা হবে।’
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি ভিত্তিতে র্যাপিড ক্রাশ প্রোগ্রাম চালুর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, ‘এডিস মশা যদি আমরা এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা আছে। জরুরি ভিত্তিতে আমাদের র্যাপিড ক্রাশ প্রোগ্রাম চালানো উচিৎ এ বছরের ডেঙ্গু মোকাবিলায়।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি জনসচেতনতার বিকল্প নেই বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।