ডেঙ্গু প্রতিরোধে অবহেলা: সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাও

৩ সপ্তাহ আগে
নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অবহেলার প্রতিবাদে সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাও করেছে গণসংহতি আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা কমিটির নেতাকর্মীরা।

রোববার (১ ডিসেম্বর) শহরের চাষাঢ়া থেকে মিছিল নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন জেলা ও মহানগর গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।


এসময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও সিভিল সার্জনের অবহেলার অভিযোগ তুলে গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি উন্নতির জন্য গত ২২ নভেম্বর সাত দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। অন্যথায় ১ ডিসেম্বর সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। কিন্তু গত সাত দিন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সিটি কর্পোরেশনের বাইরে বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উন্নয়নে কর্তৃপক্ষের যথাযথ উদ্যোগ আমরা দেখিনি। তাই পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা আজকে সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাও করেছি।’


তরিকুল সুজন আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতির কোনরূপ উন্নতি আমাদের কাছে দৃশ্যমান হয়নি। এখন যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালগুলোতেও আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। মাঝে মধ্যেই ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট সংকট দেখা দিচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে নামমাত্র বিশেষায়িত ডেঙ্গু ওয়ার্ড থাকলেও পর্যাপ্ত বেড, মেডিসিন ও মেডিকেল যন্ত্রাংশের অভাব রয়েছে।’


গণসংহতি আন্দোলনের সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির সময় সেখানে উপস্থিত হন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান।


আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় সিভিল সার্জনের প্রধান সহকারীর অব্যাহতি চাইলেন শিক্ষার্থীরা


এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে মশক নিধনে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ার ফলেই জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। নারায়ণগঞ্জ শহরের দুটি হাসপাতালেই আমরা পৃথক ডেঙ্গু ইউনিট করেছি। সেখানে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’


জেলা সিভিল সার্জ আরও বলেন, ‘মশক নিধনে যে ফগার মেশিন ব্যাবহার করা হচ্ছে সেটা মশা নিধনের জন্য যথেষ্ট না। সিটি করপোরেশন এলাকায় মশক নিধনে ওষুধ প্রয়োগ করা হলেও বাইরের এলাকাগুলোতে একেবারেই কাজ হয় না। আমাদের এই জায়গায় সিটি করপোরেশন ওষুধ প্রয়োগ করে না কারণ এটা ফতুল্লা ইউনিয়নের অন্তর্গত। এখানে আমি থাকি। এখানে ড্রেনগুলোতে একেবারেই ওষুধ দেয়া হয় না।’


তিনি আরও বলেন, ‘এসপি সাহেব নিজ উদ্যোগে তার বাড়ির আশেপাশে ওষুধ প্রয়োগ করেন। এখন আমরা কোথায় যাবো। আপনারা যদি এখন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করতে চান আমিও আপনাদের সঙ্গে যাবো। নারায়ণগঞ্জ কোর্টে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ আসে। এখান থেকে কেউ আক্রান্ত হয়ে চলে যাবে নিজ নিজ এলাকায়। আবার কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখানে আসল এখানে কোন মশা তাকে কামড় দিয়ে ডেঙ্গু পজেটিভ হল। এভাবে পুরো জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে।’


সিভিল সার্জন বলেন, ‘সকল জেলায় সম পরিমাণ কীট দেয়া হচ্ছে। এটা হয়তো কার্যকর না।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন