দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা শব্দ চয়নে রাজনৈতিক ভব্যতার সীমা অতিক্রম করেছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সুস্পষ্ট রূপরেখা দিয়েছেন, বলছে এবি পার্টি
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত নির্বাচনের সময়সীমার ক্ষেত্রে আবহাওয়া সংকট এবং রমজানের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা ও কার্যক্রম পরিচালনার চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে বিএনপি। পাশাপাশি কেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে অপারগ অন্তর্বর্তী সরকার, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ তার ভাষণে উল্লেখ করতে পারেননি বলে মনে করে দলটি।
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে আর ‘অহেতুক’ বিলম্ব না করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোরালো দাবি জানিয়েছে দলটি।
দ্রুত নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ‘একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীকে’ দায়ী করা হয় বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: এপ্রিল নির্বাচনের জন্য কতটা বাস্তবসম্মত সে বিষয়ে শঙ্কা রয়েছে: গণসংহতি
বিএনপি বলেছে, ‘নির্দলীয়-নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার একটি ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার কথা বললেও একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সিংহভাগ রাজনৈতিক দলের মতামত অগ্রাহ্য করে নিজেদের নিরপেক্ষতাকেই যেভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে দেশের জনগণ সঙ্গতভাবেই শঙ্কিত হতে পারে।’
]]>