ডাকসুর ভোট গণনায় বেশি সময় লাগার কারণ জানালেন অধ্যাপক শামীম রেজা

৩ সপ্তাহ আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনায় বেশি সময় লাগার কারণ জানিয়েছেন উদয়ন স্কুল কেন্দ্রের কেন্দ্রপ্রধান অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা।

ভোট গণনা চলাকালে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই কেন্দ্রে চারটি হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। প্রথমে হল সংসদের ভোটের ব্যালটগুলো স্ক্যানিং (যাচাই–বাছাই) করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ডাকসুর ব্যালটগুলোর মধ্যে একটির স্ক্যানিং করা হয়েছে।


কিন্তু আমরা এখনো কাউন্টে যাইনি, যেটা আগে আমরা আপনাদের বলেছি। আমরা (হল সংসদের ব্যালট) স্ক্যানিং শেষ করেছি।


মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদের ভোট গ্রহণ চলে। এরপর শুরু হয় গণনার কাজ।

 

এবার ডাকসু ভোটে শিক্ষার্থীদের মোট ছয়টি ব্যালট দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি ব্যালটে সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস), একটি সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস), দুটি ব্যালটে সম্পাদক পদগুলো এবং একটি ব্যালটে সদস্য পদগুলোতে ভোট দেন ভোটাররা।


অধ্যাপক শামীম রেজা বলেন,

ডাকসুর ব্যালটগুলোর ভেতরে একটার স্ক্যানিং শেষ করেছি। একটা প্রক্রিয়াজাত চলছে। আর দুইটা আমাদের করা বাকি। আমরা কিন্তু কাউন্টিংয়ে (গণনা) যাইনি। সেই হিসাবে আমাদের যারা প্রযুক্তির দায়িত্বে আছেন, তাদের কথায় মনে হচ্ছে, আরেকটু সময় লাগবে। মাঝরাত পার হতে পারে।

 

সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়। যারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, তারা জানেন এ ধরনের ক্ষেত্রে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে দেখতে হয়। একটা স্যাম্পল ম্যাপ...। সেই স্যাম্পলটা আমরা ম্যানুয়ালি হিসাব করি। এরপর ওনারা প্রযুক্তিগতভাবে একাধিকবার করে দেখেন যে এটা ঠিক আছে কি না।’

 

আমরা তো (ভোট গ্রহণ) শেষ করলাম চারটায়। এরপর আমাদের সব ব্যালট বাক্স আনতে হলো একটি কেন্দ্রীয় জায়গাতে। এ জায়গাতে প্রায় পাঁচটার ওপরে বেজে গেল। এরপর এগুলো প্রক্রিয়াজাত করতে হচ্ছে, বের করতে হচ্ছে এবং বড় একটা সময় যাচ্ছে বাছাই করতে (সর্ট অফ) করতে। কারণ, এগুলো (ব্যালট) বিভিন্নভাবে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে আমরা বিরতিহীনভাবে।

 

এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, রাতের মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা হবে

 

রাত সাড়ে ১২টার দিকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, আটটি কেন্দ্র থেকে প্রত্যেক হল সংসদের ফলাফল ও ডাকসুর ফলাফল ঘোষণা করা হবে। সিনেট ভবন সামনে থেকে ডাকসুর আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

 

এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ডাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ চলে। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ ভোটের বিপরীতে ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।

 

আরও পড়ুন: সাদিক কায়েমের হুঁশিয়ারি / ঢাবিকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে পরিণতি হাসিনার চেয়েও খারাপ হবে
 

ডাকসুতে ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হয়েছে।


এবারের ডাকসু ভোটে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে অন্তত ১০টি প্যানেল অংশ নিয়েছে। এর বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন প্রার্থীদের আরেকটি অংশ।


দিনভর কোনো ধরনের সংঘাত সংঘর্ষ ছাড়াই ভোটগ্রহণ হলেও প্রার্থীদের অনেকে একে অপরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি ভোটে কারচুপির অভিযোগও তুলেছেন কেউ কেউ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন