ডাইনিংয়ে পড়ে ছিল স্বামীর রক্তাক্ত মরদেহ, রান্নাঘরে স্ত্রীর

৫ ঘন্টা আগে
রংপুরের তারাগঞ্জে এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর রহিমাপুরে ডাইনিং রুম থেকে নিহত স্বামীর ও রান্নাঘর থেকে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ।


নিহতরা হলেন: একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তার স্ত্রী সুর্বণা রায় (৬০)।


জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। প্রধান দরজার চাবি নিয়ে দরজা খুলে বাড়ির ভেতরে ঢোকার পর ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায়ের এবং রান্নাঘরে সুর্বণা রায়ের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়।


প্রত্যক্ষদর্শী দীপক চন্দ্র রায় জানান, তার পরিবার ৪০-৫০ বছর ধরে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ির দেখাশোনা করেন। তিনি প্রতিদিন সকালে কাজ করতে সেখানে যান। আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘর থেকে কেউ বের না হওয়ায় সন্দেহ হয়।


আরও পড়ুন: ঘরের মেঝেতে স্বামী, খাটে পড়ে ছিল স্ত্রীর মরদেহ


দীপক চন্দ্র রায় বলেন, ‘অনেক ডাকাডাকি করে কোনো শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনকে ডাকি। এরপর মই বেয়ে ভেতরে ঢুকে দেখি ঘরে কেউ নেই। পরে ডাইনিং রুমের দরজা খুলে দেখি দাদুর রক্তাক্ত মরদেহ আর রান্না ঘরে দিদার মরদেহ পড়ে আছে।


স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, নিহত যোগেশ চন্দ্র রায় পেশায় শিক্ষক ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসরে যান। তার দুই ছেলে—বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজনই থাকতেন।


আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার


এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’


তারাগঞ্জ থানার এসআই মো. আবু ছাইয়ুম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে দুজনেরই মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন