অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. এমাজউদ্দীনের মেয়ে এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন।
তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমিও ক্লাস নিয়েছি। আজ সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে। আমার বাবা গণতন্ত্র ও রাজনীতি নিয়ে আজীবন লেখালেখি করেছেন, কিন্তু নিজেকে কখনো বুদ্ধিজীবীর আসনে বসাননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ছাত্রজনতা, এই যুবসমাজের হাত ধরেই বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউডার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রফেসর মুজিব খান। তিনি বলেন, ‘ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন সর্বজনমান্য ব্যক্তি। আওয়ামী লীগ-বিএনপি—সব রাজনৈতিক দলই তাকে সম্মান জানাত। ইউডা ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণায় তার স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।’
স্বাগত বক্তব্য দেন ইউডার উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মো. নুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তারা বলেন, প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ কেবল একজন জ্ঞানী শিক্ষকই নন, ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রচিন্তক। শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদান এবং গণতন্ত্র বিষয়ক বিশ্লেষণ আজও প্রাসঙ্গিক। তরুণদের মাঝে গণতান্ত্রিক চেতনা জাগ্রত করতে তার চিন্তা ও দর্শন অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে ইউডার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
]]>