বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আছেন। আপনারা তাকে চেনেন? উনি ড. ইউনূসের ভাই-ব্রাদার কোটায় এসেছেন। তার স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। সব সময় বলে আসছি এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোনো প্রয়োজন নাই। আপনারা উনার কোনো অ্যাক্টিভিটি দেখেছেন? তিনি যে বেতন নেন তা হারাম হবে। তিনি সরকারি টাকায় যে গাড়িতে চড়েন তা জনগণের সঙ্গে বেইমানি। এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কোনো কাজের না। তিনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বোঝেন না, চিকিৎসা বোঝেন না। উনার একমাত্র যোগ্যতা তিনি গ্রামীণ ব্যাংকে ছিলেন এবং ড. ইউনূসের খুব কাছের মানুষ। এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা লইয়া আমরা কী করিব? এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নিজের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে যে বেতন ভাতা দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে তার অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে হামলার পর আ. লীগ তওবার সুযোগও হারিয়েছে: হাসনাত
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘যে বাংলাদেশে আকাশ থেকে বিমান ভেঙে পড়ে, ভবন ভেঙে পড়ে, আমরা সেই রকম বাংলাদেশ চাই না। হাসিনার আমলে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে, পূর্বের সেই দুর্নীতিগুলোর তদন্ত করা উচিত। এই বিমানগুলো হাসিনার আমলে কেনা, সেই সময় হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। আমরা বিমান বাহিনীর ভাইদের নিরাপত্তা চাই। আপনাদের নিরাপত্তার যেসব সরঞ্জাম রয়েছে এসব সঠিক কিনা, ঝুঁকিমুক্ত কিনা আপনাদের বিবেচনা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আমরা মারা গেলে কেউ না কেউ আবার উঠে আসবে: হাসনাত
হাসনাত বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে আমাদের ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে অংশ নিতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে। আমরা শোকাহত। কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি এই লাশের ওপর দিয়ে আবার ফেরার চেষ্টা করে আমরা শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে প্রতিহত করব।’
একই সমাবেশে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের সিস্টেম সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই সরকার যেন অন্য কিছু চিন্তা না করে।’
সারজিস আলম বলেন, ‘শহীদদের মায়েরা কান্না করতে করতে তাদের চোখের পানি শুকিয়ে গিয়েছে। নতুন আরেক জুলাই এসেছে। কিন্তু কোন দৃশ্যমান বিচার লক্ষ্য করা যায়নি। জুলাই ঘটনার জন্য দায়ী খুনি হাসিনাসহ জড়িত সকলের বিচার করতে হবে।’