ঠিকাদারের গাফিলতিতে থমকে ৩ সেতুর কাজ, দুর্ভোগে পিরোজপুরের ১০ গ্রামের মানুষ

৪ দিন আগে
পিরোজপুর সদরে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্মাণাধীন ৩টি সেতুর কাজ বছরের পর বছর ফেলে রেখেছে ঠিকাদার। এতে যাতায়াত ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেতুগুলোর কাজ শেষ করার আশ্বাস এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর।

পিরোজপুর সদরের সঙ্গে শারিকতলা ইউনিয়নের যোগাযোগের সব থেকে সহজ পন্থা কুমিড়মারা-শারিকতলা-ডুমুরিতলা সড়ক। সড়কটিতে থাকা শারিকতলা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সেতু, কুমিড়মারা আবাসন ও নলবুনিয়া বাজার সেতুর কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ।

 

সেতুগুলো দেখে মনে হবে পরিত্যক্ত। অথচ আংশিক নির্মাণের পর ফেলে রাখা হয়েছে এগুলো। ঠিকাদার বছরের পর বছর কাজ ফেলে রাখায় ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ।

 

আরও পড়ুন: সিলেটের গ্রামীণ সড়কগুলোর বেহাল দশা, নেই সংস্কারের উদ্যোগ

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় কাজ শেষ না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন ঠিকাদার। সেতু না হওয়ায় মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। বর্ষায় ভোগান্তি আরও বাড়বে। দ্রুত সেতুর কাজ শেষ করা দরকার।

 

তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেতুগুলোর কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে জানিয়েছে এলজিইডি। পিরোজপুর সদর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা চলছে। তারা সাপোর্ট দিলে দ্রুত সেতুগুলোর কাজ শেষ করা হবে। এতে কমবে জনগণের ভোগান্তি।

 

আইবিআরপি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু তিনটির কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইফতী ইটিসিএল। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু হয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ করার কথা ছিল।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন