ঠাকুরগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় বিএনপি নেতা কারাগারে

২ দিন আগে
জমি বিরোধের জেরে ঠাকুরগাঁওয়ে ফজর আলী নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা এমদাদুল হক শরীফের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

বুধবার (২৮ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন মুসলিমনগর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতেই আহত মুক্তিযোদ্ধা ফজর আলীর ছেলে আল মামুন (৩৮) বাদী হয়ে সদর থানায় বিএনপির পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক শরীফসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। রাতে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এমদাদুল হক শরীফকে গ্রেফতার করে।

 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাজহারুল ইসলাম নয়ন (৪৩), জহিরুল ইসলাম লিটন (৪১) ও রাসেল আহম্মেদ (৪৩)।

 

অভিযোগে বলা হয়, দুপুরে আল মামুনদের জমি ও দোকানঘর জোরপূর্বক দখলে নিতে এমদাদুল হক শরীফ তার সহযোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। তখন দোকানে বসে থাকা ফজর আলী বাধা দিলে শরীফ চাপাতি দিয়ে তার কপাল ও হাতে আঘাত করে। পরে তাকে মাটিতে ফেলে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়।

 

স্থানীয়রা চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

 

আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার, আটক ৫

 

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত এমদাদুল হক শরীফ অতীতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিকবার জমি দখলের চেষ্টা করেছে।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজর আলী বলেন, ‘আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি। শরীরে একাধিক সেলাই লেগেছে। সে লোভে পড়ে অন্যের জমি দখল করতে চায়।’

 

আল মামুন বলেন, ‘বাবার সঙ্গে থাকা ৭ হাজার টাকাও তারা ছিনিয়ে নেয়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

 

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলেও মামলার অন্য আসামিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজিত কুমার পাল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন