ঠাকুরগাঁওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কোয়ার্টার বহিরাগতদের দখলে, বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা

৫ দিন আগে
ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কোয়ার্টারে বসবাস করছেন বহিরাগতরা। এক দশক আগে তাদের ভাড়া দিয়েছে খোদ বোর্ড। এদিকে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি বিবেচনায় কয়েকবার বোর্ডের পক্ষ থেকে বাসা ছাড়ার নোটিশ দেয়া হলেও তা মানছেন না বসবাসকারীরা।

প্রায় ছয় দশক আগে ঠাকুরগাঁও প্রধান কার্যালয়ের পাশেই একতলা ও দোতলা ভবনের স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এক দশক আগে বাসা ছেড়ে দেন বরাদ্দ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে এর পরপরই সরকারি আইন অমান্য করে বাসাগুলো বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দেয় খোদ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

সরজমিনে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ভবনের দেয়ালে-পিলারে ফাটল ধরেছে। খসে পড়ছে পলেস্তারা। এ অবস্থায় কয়েক বার বোর্ডের পক্ষ থেকে বাসা ছাড়ার নোটিশ দেয়া হলেও তা মানছেন না বসবাসকারীরা। তারা বলেন, আমাদের বাড়িঘর নেই। এখানে কম ভাড়ায় পাওয়ায় থাকছি। আর্থিক সংকটের কারণে অন্যত্র যাওয়ার সুযোগ নেই।

 

আরও পড়ুন: সরকারি কোয়ার্টারে ভাড়া বাণিজ্য: বিধি ভাঙছেন কর্মকর্তারা, নজর নেই কারও

 

স্থানীয়রা বলছেন, ভবনগুলোতে ফাটল ধরেছে। ভূমিকম্প হলে ধসে পড়তে পারে ভবনগুলো। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দায় কে নেবে?

 

আইন অমান্যের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। ক্যামেরার সামনে শুধু ভবন খালি করার নোটিশ দেয়ার দায়সারা জবাব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার। ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম যাকারিয়া বলেন, যে ভবনগুলোর অবস্থা একেবারে খারাপ সেখানে নতুন করে ভাড়া না দেয়ার চেষ্টা চলছে। যারা এখন থাকছেন, তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে ওই কোয়ার্টারের জন্য অর্ধশত ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন