জেলার পাঁচটি উপজেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখি ঝড় বয়ে গেলেও ঠাকুরগাঁও জেলা সদরসহ বালিয়াডাঙ্গী ও রানীশংকৈল উপজেলায় সবচেয়ে বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দমকা হাওয়া ও শিলা বৃষ্টিতে রোপণকৃত ভুট্টা, পেয়াঁজ বীজ, মরিচ, করলাসহ শাক সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, বিশেষ করে জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও রাণীশংকৈল উপজেলায় কৃষকের ক্ষতি বেশি হয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে বালিয়াডাঙ্গী ও রাণীশংকৈল উপজেলায় সবচেয়ে বেশি। এ অবস্থায় পাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রণয়নের কথা জানায় কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ যেসব অঞ্চলে সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
স্থানীয় কৃষকরা জানান, হঠাৎ গেল রাতে বৃষ্টি শুরু হয়। তার কিছুক্ষণ পর থেকে শুরু হয় শিলা বৃষ্টি। শিলা বৃষ্টির কারণে কৃষকের রোপণকৃত বেশিরভাগ জমির পেঁয়াজের বীজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ভুট্টাসহ অন্যান্য শাক সবজির ক্ষতিও হয়েছে। কৃষক চেষ্টা করছে মাটিতে পড়ে থাকা ফসল রক্ষায়। তারপরেও কৃষক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। যদি সরকার কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেয়, তাহলে কৃষক কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে। তা না হলে কৃষকের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। ঋণ মহাজন করে কৃষি করা, তা পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাজেদুল ইসলাম জানান, ভোর সকাল থেকে কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। জেলার পাঁচটি উপজেলা থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। ৬৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষককে পরামর্শ দেয়া হয়েছে যেসব ফসল রক্ষা করা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করা হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ তালিকা হাতে পেতে আরও চার থেকে পাঁচদিন সময় লাগবে। তবে ক্ষতির পরিমাণ কত টাকা তা এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।