মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ দুঃখ প্রকাশ করেন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘ট্রেনে ইটপাটকেল মারার ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে ঘটনায় ট্রেনের চালকও দায়ী। আমরা আহতদের চিকিৎসা ব্যয় নিতে প্রস্তুত। ছাত্রদের মধ্যে যারা এই ঘটনায় দায়ী তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন: ট্রেনে পাথর ছুড়ে রক্তাক্তের ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদে ছাত্রদলের নিন্দা
আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়েই রাজপথ বেছে নিয়েছিলাম। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে কমিটি গঠন করবে সরকার। কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের পর সিদ্ধান্ত নেবে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা যায় কি না।’
এই সাত দিন সড়কে কোনো আন্দোলন করা হবে না জানিয়ে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘তবে ক্যাম্পাসের ভেতর আমাদের কার্যক্রম চলবে। ক্যাম্পাসে ক্লাস পরীক্ষা আগের মতোই চলবে। যদি সাত দিনের মধ্যে কোনো অগ্রগতি না হয় তবে আবারও রাজপথে নামবো আমরা।’
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তরে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই। আজকের মিটিংয়ে এই যুক্তি দেখিয়েছি আমরা। সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সাত কলেজের আন্দোলন যেটি চলে আসছিল সেটি এখন ছয় কলেজের আন্দোলন। আমরা আর তাদের সাথে নেই। তিতুমীর আলাদা করে বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করছে।’
আরও পড়ুন: ট্রেন আটকে শিক্ষার্থীদের ঢিল, শিশুসহ আহত কয়েকজন
সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সোমবার রাজধানীর মহাখালী রেলগেট অবরোধ করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এ সময়ে চলন্ত ট্রেনের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ উঠে।
তবে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, অবরোধ না মেনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ট্রেন চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা হলে কিছু ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
কমলাপুর স্টেশন সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে শিশুসহ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন।