ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি

৫ দিন আগে
যুক্তরাষ্টের বিদেশি সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্তে ২০৩০ সালের মধ্যে এক কোটি ৪০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। সোমবার (৩০ জুন) প্রভাবশালী চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের প্রতিবেদনে এ শঙ্কার কথা জানানো হয়।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

 

গবেষণায় দেখা গেছে, এর মধ্যে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা এক-তৃতীয়াংশ শিশু রয়েছে। 

 

আরও পড়ুন:ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প

 

গবেষণার সহলেখক এবং বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ-এর গবেষক ডেভিড রাসেলা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ধাক্কাটি অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের জন্য একটি বৈশ্বিক মহামারি কিংবা বড় ধরনের সশস্ত্র সংঘাতের মতো হবে ।’

 

এই প্রতিবেদনটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যখন এই সপ্তাহে স্পেনের সেভিল শহরে জাতিসংঘের নেতৃত্বে এক দশকের মধ্যে একটি বড় সাহায্য সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন কয়েক ডজন বিশ্ব নেতা।

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির বৈশ্বিক সাহায্য কর্মসূচিতে বাজেট কাটছাঁট করেছে। প্রশাসনের দাবি, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।  

 

তবে গবেষণায় বলা হয়েছে, ইউএসএআইডির তহবিল বৈশ্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে আফ্রিকান দেশসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। 

 

গত দুই দশকে এই সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত কর্মসূচি ৯ কোটির বেশি মৃত্যুরোধে সহায়তা করেছে, যার মধ্যে ৩ কোটির বেশি শিশু অন্তর্ভুক্ত।

 

১৩৩টি দেশের তথ্য পর্যালোচনা করে গবেষকদের দল অনুমান করেছে যে, ইউএসএআইডির তহবিল ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ৯ কোটি ১০ লক্ষ মৃত্যু রোধ করেছে।

 

আরও পড়ুন:টিকটক বিক্রির জন্য অত্যন্ত ধনী ক্রেতা পেয়েছি: ট্রাম্প

 

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মার্চ মাসে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, বা ইউএসএআইডি-র সমস্ত কর্মসূচির ৮০ শতাংশেরও বেশি বাতিল করেছে।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন