পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গেল মে মাসে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার অবসান ঘটাতে ট্রাম্পের ‘কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের’ জন্য, জুন মাসে পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ২২ এপ্রিল ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দোষারোপ করে নয়াদিল্লি, তারা পরে পাকিস্তানে বিমান হামলাও চালায় এবং এরপর প্রতিশোধের মুখোমুখি হয়, যেখান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: আজাদ কাশ্মীরে আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির ‘লকডাউন’, চাপে পাকিস্তান সরকার
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর উত্তেজনা প্রশমনের মধ্যেই ট্রাম্প দাবি করেন, মার্কিন হস্তক্ষেপই দেশ দুটির মধ্যে ‘পারমাণবিক যুদ্ধ’ ঠেকিয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পকে নোবেল পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রাম্প পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়েছেন এবং এই অঞ্চলকে বড় ধরনের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ট্রাম্প যদি পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় হস্তক্ষেপ না করতেন, তাহলে ‘আরও ধ্বংসযজ্ঞ এবং প্রাণহানি ঘটত’।
শেহবাজ আরও বলেন, ট্রাম্প ইথিওপিয়া এবং মিশরের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়েছেন, এমনকি ইউক্রেনেও।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চোখে ট্রাম্প একজন ‘শান্তিপ্রেমী মানুষ’
এছাড়াও, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে ট্রাম্পের সাথে নিজের সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা বলতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, তার ওয়াশিংটন সফর ‘খুব ফলপ্রসূ এবং সফল হয়েছে।’
সূত্র: দ্য ডন
]]>