সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, প্রথম দফায় রিপাবলিকান দলের তিন আইনপ্রণেতা জনসনের বিপক্ষে ভোট দেয়ায় ঝুলে যায় তার স্পিকার পদে বহাল থাকা। এছাড়া কোন প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গড়ায় ভোটাভুটি।
এসময় নিজেদের ভোট জনসনকেই দেন রিপাবলিকান ওই আইনপ্রণেতারা। এর আগে গেল বছরের শেষ দিকে স্পিকার হিসেবে জনসনকে সমর্থন দেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে রিপাবলিকান শিবিরে বিভক্তি দেখা দেয়। প্রতিনিধি পরিষদের কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্যকে জনসনের নেতৃত্বের বিরোধিতা করতেও দেখা যায়। যদিও শেষ হাসি হাসলেন জনসনই।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সে হামলা সম্পর্কে আরও যা জানাল এফবিআই
দ্বিতীয় দফার ভোটে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর জনসন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের পাশাপাশি পরবর্তী কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে শপথ নেন। প্রতিনিধি পরিষদে লুইজিয়ানার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। গত বছরের অক্টোবরে স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন জনসন।
বিজয়ী ভাষণে জনসন বলেন, ‘গত চার বছর জো বাইডেনের দূর্বল নেতৃত্ব আমেরিকাকে বিপজ্জনক অবস্থানে নিয়ে গেছে। পরবর্তী কংগ্রেস ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি বাস্তবায়নে চ্যাম্পিয়ন হবে।’
আরও পড়ুন: টিকটক নিষিদ্ধের আইন স্থগিত রাখতে সুপ্রিম কোর্টকে ট্রাম্পের অনুরোধ
এদিকে স্পিকার পদে পুননির্বাচিত হওয়ায় জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘জনসন একজন সেরা স্পিকার হবেন এবং তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হবে।