মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম গত মার্চ মাসে জানিয়েছিলেন, এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের আগে সরকার সকল অংশীজনদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবে। এই বিলম্বে অংশীজনদের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আরও সময় দেয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
১৩তম এমপি নথিতে বলা হয়েছে, একটি আরও গতিশীল, প্রতিযোগিতামূলক এবং টেকসই কর্মসংস্থান বাজার প্রতিষ্ঠা করতে এবং মালয়েশিয়ানদের আয় বাড়াতে শ্রম সংস্কার দ্রুত করা হবে। বহু-স্তরীয় লেভি প্রক্রিয়াটি চালুর ফলে মালয়েশিয়ানদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি হবে এবং তারা দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উচ্চ আয় উপার্জন করতে পারবে।
নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এর মাধ্যমে ‘২০৩০ সালের মধ্যে বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরতা ১০ শতাং এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ, বিপজ্জনক এবং কঠিন কাজ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ ক্ষেত্রগুলোতে জনবলের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করা হবে।’
আরও পড়ুন: কুয়ালালামপুরে ম্যাসাজ পার্লার থেকে দুই বাংলাদেশি নারীসহ আটক ২২
গত ডিসেম্বরে, ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারার্স (এফএমএম) পুত্রজায়াকে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের বিশদ বিবরণ কমপক্ষে ছয় মাস আগে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছিল, যাতে শিল্পগুলি নতুন নিয়মের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়। বর্তমান সিদ্ধান্তের ফলে এফএমএম এবং অন্যান্য শিল্প সংস্থাগুলো প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আরও কিছুটা বাড়তি সময় পাচ্ছে।
বহু-স্তরীয় লেভি ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য কী
বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরতা কমানো: সরকার চায় মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলো বিদেশি শ্রমিকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল না হয়ে স্থানীয় শ্রমিকদের নিয়োগে উৎসাহিত হোক।
স্থানীয় শ্রমিকদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি: বিদেশি শ্রমিকের খরচ বাড়লে কোম্পানিগুলো স্থানীয় কর্মীদের নিয়োগের দিকে ঝুঁকবে, ফলে মালয়েশিয়ানদের জন্য আরও কাজের সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বিরোধীদের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন আনোয়ার ইব্রাহিম
উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন বিদেশি শ্রমিকদের আকর্ষণ: ধারণা করা হচ্ছে, যে সকল বিদেশী শ্রমিকের দক্ষতা বেশি এবং যারা দেশের অর্থনীতিতে বেশি অবদান রাখতে পারবে, তাদের জন্য হয়তো কম লেভি নির্ধারণ করা হতে পারে। অন্যদিকে, কম দক্ষতা সম্পন্ন বা যেই কাজগুলো মালয়েশিয়ানরা সহজেই করতে পারে, সেই কাজগুলোর জন্য হয়তো বেশি লেভি নেয়া হবে।
শ্রমবাজারকে আরও গতিশীল করা: এর মাধ্যমে শ্রমবাজারের চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ্য, এই বহু-স্তরীয় লেভিটি মূলত ১২তম মালয়েশিয়া পরিকল্পনার অধীনে চালু হওয়ার কথা ছিল। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মোট কর্মশক্তিতে বিদেশি শ্রমিকের হার ১৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা।
]]>