টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যারা

৩ সপ্তাহ আগে
অবশেষে চোকার্স তকমা ঘুচিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শনিবার (১৪ জুন) বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট জিতেছে প্রোটিয়ারা। আর এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর।

এর রেশ থাকতে থাকতেই চলে এসেছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর বা চক্র। ২০২৫-২৭ চক্রের শুরুটা হচ্ছে বাংলাদেশকে দিয়েই। গলে আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামবে টাইগাররা। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৫ জুন, কলম্বোয়। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ। 

 

লাল বলের ক্রিকেটে ২৫ বছর পার করে দিয়েছে বাংলাদেশ। তবুও এই সংস্করণে টাইগারদের রেকর্ডটা খুব একটা ভালো নয়। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসার পর থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কিছুটা উন্নতির দিকেই। 

 

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স অনেক ভালো বলা যায় না। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসর (২০১৯-২১) টাইগাররা শেষ করেছিলো পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে। সেবার ৭ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ। 

 

দ্বিতীয় ২০২১-২৩ চক্রে ১২ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছিলো মাত্র ১ ম্যাচ, আর ড্র করেছিলো একটিতে, বাকি ১০ ম্যাচেই তারা হেরেছিলো। সেবারও তারা পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকেই আসর শেষ করেছিলো। এই চক্রে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে বলার মতো আর কিছুই নেই। 

 

আরও পড়ুন: ভারতের আবদার উড়িয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের তিন ফাইনালও ইংল্যান্ডে!

 

তৃতীয় (২০২৩-২৫) আসরে ১২ ম্যাচে ৪টি জয় পেয়েছে বাংলদেশ। এর মধ্যে গত বছর পাকিস্তানে গিয়ে তাদের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সুখস্মৃতিও আছে। বাকি ৮ ম্যাচে তারা হেরেছিলো। এই চক্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো সপ্তম। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে ৩১টি। তার মধ্যে জিতেছে ৫টি, ড্র করেছে দুটি আর বাকি ২৪ ম্যাচেই হেরেছে।

 

শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণীই শুনিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেছেন, ‘গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। লক্ষ্য থাকবে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।’ 

 

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারও অংশ নিচ্ছে ৯টি দল। প্রত্যেক দল খেলবে ৬টি করে সিরিজ। তিনটি সিরিজ নিজেদের মাঠে, আর তিনটি খেলবে প্রতিপক্ষের মাঠে। পয়েন্ট সিস্টেমেও কোনো পরিবর্তন আসেনি। জিতরে পয়েন্ট পাবে ১২, ড্র করলে ৪ আর টাই করলে পাবে ৬ পয়েন্ট। 

 

গত দুবারের চেয়ে এবার ম্যাচের সংখ্যা বেড়েছে। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি, সিরিজ হবে ২৭টি। প্রত্যেক সিরিজেই সর্বনিম্ন দুই ও সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ হবে। চতুর্থ চক্রের ফাইনালও লর্ডসে আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ম্যাচ হবে ২০২৭ সালের জুনে। ফাইনালের আগে শেষ সিরিজ হবে সেই বছরের মার্চে; দুটি টেস্ট খেলতে পাকিস্তানে যাবে নিউজিল্যান্ড। 

 

আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় গিয়ে জ্বরের কবলে মিরাজ, প্রথম টেস্টে থাকবেন তো?

 

এবার সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। সবচেয়ে কম ১২টি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ এই একটিই। বাকি পাঁচ সিরিজই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। সব সিরিজেই দুটি করে ম্যাচ। 

 

আগামী বছর বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ মার্চে, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই বছরের আগস্টে টাইগাররা যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০০৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সিরিজ। 

 

এই চক্রে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সিরিজ খেলবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে; ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। পরের মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে টাইগাররা। বাংলাদেশের শেষ সিরিজ দেশের মাটিতেই; ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে খেলতে আসবে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর এটিই হবে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ। 

 

৬টি সিরিজের মধ্যে ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশ দল আছে শ্রীলঙ্কায়। এই সিরিজ বাদ দিয়ে বাকি দুটি সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে খেলবে টাইগাররা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন