টেকনাফের গহিন পাহাড় থেকে ২২ জনকে উদ্ধার করল র‌্যাব

১ সপ্তাহে আগে
কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড়ে আবারও মানবপাচারকারি চক্রের আস্তানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। অভিযানে চক্রের সদস্যরা পালালেও জিম্মিদশা থেকে ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে মানবপাচারকারিদের কয়েকটি আস্তানা।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারস্থ র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক আ. ম. ফারুক।

 

তিনি বলেন, কক্সবাজারে মরণনেশা ইয়াবার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাগরপথে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচারকারী চক্র। তাই টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় নজরদারি ও তৎপরতা বাড়ায় র‌্যাব। তারই ধারাবাহিকতায় ভোররাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা করাচিপাড়া গহিন পাহাড়ে অভিযানে যায় র‌্যাব সদস্যরা। চলে ৩ ঘণ্টাব্যাপী অভিযান। এতে র‌্যাব অভিযান টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা। তবে অভিযানে তাদের কয়েকটি আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। এসব আস্তানা থেকে জিম্মিদশা অবস্থায় ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে ১জন বাংলাদেশি নাগরিক আর বাকিরা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাসিন্দা। তবে উদ্ধার হওয়াদের তথ্য পাচারকারী চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ২০ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম মোবারক (১৭)-এর বরাত দিয়ে র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক আ. ম. ফারুক বলেন, ‘গত ১৩ অক্টোবর বিকেলে কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে পলাতক ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাকে সিএনজি যোগে অপহরণ করে। এরপর গহিন পাহাড়ের আস্তানায় আটকে রেখে মারধর করে এবং তার পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তার সঙ্গে উদ্ধারকৃত অন্যান্য রোহিঙ্গা ভিকটিমদেরকেও বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে অপহরণ করে। এরপর মুক্তিপণ না দিলে তাদের মালয়েশিয়া পাচার করার হুমকি দেয়। মুক্তিপণের টাকা না দেয়ায় শরীরের বিভিন্নস্থানে সিগারেটের আগুন দিয়ে পুড়ে দেয় এবং প্লায়ার্স দিয়ে আঙুলের নখ তুলে ফেলে।’

 

এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং উদ্ধার ব্যক্তিদের স্ব-স্ব ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলেও জানায় র‌্যাব কর্মকর্তা আ. ম. ফারুক।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন