টেকনাফে অপহরণ চক্রের ৫ সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার

৪ সপ্তাহ আগে
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণ চক্রের পাঁচ সদস্যকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের লামার বাজারসংলগ্ন মেরিন ড্রাইভে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।


এর আগে গত শুক্রবার (১৮ জুলাই) অটোরিকশা চালক পাভেল চাকমা অপহরণ এবং দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ে জড়িত ছিল বলে শনাক্ত করার তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।


গ্রেফতার অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা হলেন: চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের আবদুল হাকিম পাড়ার নুরুল কবিরের ছেলে আব্বাস উদ্দিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল হাকিম ভুট্টোর ছেলে সাকিবুল ইসলাম (২২), সফি আলমের ছেলে ফরহাদ মিয়া (১৯), একই উপজেলার ডেমুশিয়া এলাকার মৃত ইউনুছ আহাম্মদের ছেলে মো. রবিউল হোসেন (২৭), সাহাব উদ্দিনের ছেলে মো. তাওসিফ (১৯)।


এ সময় একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, তিনটি শটগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ পাওয়া পর পাপেল চাকমাকে ছাড়ল অপহরণকারীরা


টেকনাফ থানার ওসি জানান, গত শুক্রবার সকালে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হরিখোলা এলাকার বাড়ি থেকে পাভেল চাকমা অটোরিকশা নিয়ে বের হন। তিনি পার্শ্ববর্তী বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর স্টেশনে ভাড়ার সিরিয়াল দিতে গাড়ি নিয়ে রওনা দেন। পথিমধ্যে হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের সোনালী ব্যাংক ঢালা নামক এলাকায় পৌঁছালে পাহাড় থেকে নেমে আসা একদল অস্ত্রধারী তার গাড়িটি গতিরোধ করে। পরে পাভেল চাকমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায়। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের সোনালী ব্যাংক ঢালা নামক এলাকায় অপহৃত যুবককে ছেড়ে দেয়া হয়।


পাভেল চাকমা টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হরিখোলা চাকমা পাড়ার বাসিন্দা মৃত চন্দ্রমনি চাকমার ছেলে।


আরও পড়ুন: অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, অপহৃতকে যৌথ বাহিনীর উদ্ধার


স্বজনদের বরাতে তিনি বলেন, ‘সকালে ঘটনাটি শোনার পর থেকে পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দিতে স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে কয়েক দফা যোগাযোগের দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃতকে ছেড়ে দিতে রাজি হন। অপহরণকারীদের কথা মত মুক্তিপণের টাকা নিয়ে পাহাড়ের বিশেষ একটি এলাকায় যান। অপহরণকারীদের হাতে দাবি করা দেড় লাখ টাকা তুলে দেয়া হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অপহৃত চাকমা যুবককে ছেড়ে দেয়া হয়।’


তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এর মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে কিছু আসামি টেকনাফ থেকে চকরিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে লামার বাজারের মেরিন ড্রাইভে অবস্থান করছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করে। ভিকটিম পাভেল চাকমা এদের অপহরণ মামলার ঘটনার সাঙ্গে আসামি মর্মে শনাক্ত করেন। আসামিদের সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে পাঠানো হয়।’


কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত ১৮ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫৬ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন