টি-টোয়েন্টিতে লজ্জার ‘কীর্তি’তে রুয়ান্ডার সঙ্গী পাকিস্তান

১ দিন আগে
বৃষ্টিকে ধন্যবাদ দিতেই পারে পাকিস্তান। গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জোহানেসবার্গে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিটা বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত না হলে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ তো হতেই হতো, একই সঙ্গে আরও বড় লজ্জায় পড়তে হতো মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলকে। এ বছর টি-টোয়েন্টিতে হারের তালিকায় এককভাবে বসতে হতো পাকিস্তানকে। শেষ ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় সেই শঙ্কা থেকে মুক্তি পেলেও লজ্জা অবশ্য পাকিস্তানকে ছাড়েনি। যৌথভাবে ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে হেরেছে পাকিস্তানই।

২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারের হিসেবে শীর্ষে পাকিস্তান। এ বছরে আর কোনো দলের পাকিস্তানকে এই লজ্জা থেকে মুক্তি দেয়ার সুযোগ নেই। তবে লজ্জায় সঙ্গী পেয়েছে তারা। পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হেরেছে মাত্রই ৭ বছর আগে আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ পাওয়া রুয়ান্ডা। পাকিস্তান এবং আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডা উভয়ই সর্বোচ্চ ১৬টি করে ম্যাচ হেরেছে। তবে পাকিস্তান রুয়ান্ডার চেয়ে ৩টি ম্যাচ বেশি খেলেছে।


২৪ ম্যাচ খেলে ৮টি ম্যাচে জয় পেলেও রুয়ান্ডা হেরেছে ১৬ ম্যাচে। অন্যদিকে পাকিস্তানের ১৬টি হার এসেছে ২৭ ম্যাচে। এই সময়ে তারা ৯টি ম্যাচে জিতেছে। টাই হয়েছে ১টি আর ফল হয়নি বাকি ম্যাচটির।


আরও পড়ুন: মালয়েশিয়াকে ২৯ রানে অলআউট করে ১২০ রানের জয় বাংলাদেশের


টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের পরেই আছে জিম্বাবুয়ে। ২৪ ম্যাচের ১৪টিতে হেরেছে তারা। জিতেছে ১০ ম্যাচে। এরপরেই আছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের মতো ১০টি ম্যাচে টাইগাররা জিতলেও হেরেছে ১২ ম্যাচে।


তবে বাংলাদেশের সুযোগ আছে জিম্বাবুয়ের সঙ্গী হওয়ার। সে জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের বাকি দুই টি-টোয়েন্টিতে হারতে হবে লিটন দাসের দলকে।


দক্ষিণ আফ্রিকা ২৩ ম্যাচ খেলে ১১ হার নিয়ে আছে চারে। তারা জিতেছে ১২ ম্যাচে। ২৫ ম্যাচে ১০ হার নিয়ে পাঁচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪টি ম্যাচে জেতা ক্যারিবীয়দের সামনে বাংলাদেশের মতোই সুযোগ আছে হারের সংখ্যা বাড়িয়ে তালিকার আরও ওপরে ওঠার।


আফগানিস্তান চলতি বছর ২১ ম্যাচ খেলে ১১টি জয় ও ১টি টাইয়ের পাশাপাশি হেরেছে ৯ ম্যাচে। ৯টি হার দেখেছে নিউজিল্যান্ডও। তবে তারা ম্যাচ খেলেছে ১৯টি, যার মধ্যে জয়ও পেয়েছে ৯ ম্যাচে। বাকি ম্যাচটিতে ফল আসেনি। এ বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলবে নিউজিল্যান্ড। ফলে তাদের হারের সংখ্যা বাড়তে পারে আরও।


আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কাছে হারের দিনে নতুন দায়িত্ব পেলেন স্যামি


৯টি ম্যাচে হেরেছে শ্রীলঙ্কাও। ২০ ম্যাচ খেলে তারা ১০টিতে জিতেছে, টাই ১ ম্যাচ। ইংল্যান্ড ১৭ ম্যাচ খেলে হেরেছে ৫তিতে, আর জিতেছে ১০ ম্যাচ।


সেরা দুইয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া আর ভারত। অস্ট্রেলিয়া চলতি বছর ২১ ম্যাচে হেরেছে মাত্র ৪টিতে। জিতেছে বাকি ১৭ ম্যাচেই। আর ভারত ২৬ ম্যাচে হেরেছে মাত্র ২টিতে। জিতেছে ২২ ম্যাচে, আর টাই হয়েছে ২ ম্যাচ।


সহযোগী সদস্য দলগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ও রুয়ান্ডার পরেই আছে ভুটান, ইন্দোনেশিয়া আর ওমান। ভুটান ১৯ ম্যাচ খেলে হেরেছে ১৫ ম্যাচেই। ইন্দোনেশিয়া আর ওমান সমান ২৭টি করে ম্যাচ খেলে হেরেছে যথাক্রমে ১৫ ও ১৪ ম্যাচে। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন