টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে বিদায় নিতে চান ম্যাথিউস

২ সপ্তাহ আগে
গল টেস্টটা শ্রীলঙ্কার জন্য কিংবদন্তিকে বিদায় দেয়ারও উপলক্ষ। মঙ্গলবার (১৭ জুন) থেকে শুরু হওয়া গল টেস্টই যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট, সেটি তিনি আগেই জানিয়েছেন। সোনালি যুগের শেষ তারকাকে বিদায় দিতে আয়োজনে কার্পণ্য রাখেনি লঙ্কানরা। ৩৮ বছর বয়সী ম্যাথিউস লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বললেও সাদা বলের ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চান আরও কিছুদিন।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দেয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস খেলতে চান আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কায় বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। ফিটনেস সায় দিলে এই টুর্নামেন্ট খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে পুরোপুরি বিদায় জানাবেন ৩৮ বছর বয়সী ম্যাথিউস।


২০০৯ সালে গলেই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ম্যাথিউসের। একই মাঠেই ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার ঘটনাকে কাকতালীয় বলে অবিহিত করেছেন ম্যাথিউস, 'এটা নিতান্তই কাকতালীয়। গলে আমার অভিষেক হয়েছিল। আমি আমার শততম টেস্টটিও গলে খেলেছি এবং আমি গলেই গুডবাই বলতে চলেছি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের হাতে খুব বেশি ম্যাচ নেই। এরপর আমাদের পরবর্তী টেস্ট অ্যাসাইনমেন্ট প্রায় এক বছর পর। এটা অনেক দীর্ঘ সময়।'


আরও পড়ুন: সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কারসাজির অভিযোগে দুদকের মামলা


নতুনদের সুযোগ দেয়ার এটাই সেরা সময় বলে মনে করেন ম্যাথিউস, 'আমার মনে হয়েছে এটাই সেরা সময় আমার বদলি হিসেবে যে খেলবে তাকে সুযোগ দেয়ার কারণ কারণ সে আগামী বছর পর্যন্ত আর কোনো সুযোগ পাবে না। এবং আপনি জানেন না আগামী বছর কী হতে পারে। তাই আমি ভেবেছি আমি একটা ম্যাচ খেলব এবং তারপর সরে যাব আরেকজনকে সুযোগ দিতে।'


ম্যাথিউস জানিয়েছেন, আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারে তিনি নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, 'আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আরও ৬ মাস বাকি এবং আমি এটায় খেলার চেষ্টা করব যদি আমার শরীর সায় দেয়। বিশ্বকাপের মাঠ থকে বিদায় নেয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। যদি আমরা আরেকটা বিশ্বকাপ জিততে পারি এবং আমি সেখানে দলের হয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করতে পারি। তাই আমি আমার ফিটনেসের উন্নতি এবং স্কিল বাড়াতে সবকিছুই করব।'


শেষবেলায় ক্যারিয়ারের দিকে তাকিয়ে সন্তুষ্ট ম্যাথিউস, তবে বাজে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের খেসারত দেয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেছেন, 'আমি সুখী। আমি ২০১৬ সালের পর আর সেভাবে বোলিং করিনি কারণ ২০০৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আমি সব ফরম্যাটেই অলরাউন্ডার হিসেবে খেলেছি। এটা আমার শরীরে এক পর্যায়ে চাপ ফেলেছে কারণ আমি ওয়ার্কলোড ব্যস্থাপনার দিকে সেভাবে নজর দেইনি। আমি সে সময় অধিনায়ক ছিলাম এবং প্রত্যেকটা খেলায় অবদান রাখার চেষ্টা করেছি–ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে। কিন্তু আমি আমার শরীরের দিকে ঠিকঠাক খেয়াল রাখিনি।'

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন