বাইডেন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্যের দূত স্টিভ উইটকফের শেষ সময়ের উপস্থিতিকে এই চুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে কৃতিত্ব দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করে দেয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ১৫ মাসের যুদ্ধের পর গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:গাজায় অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর
চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য দূত ব্রেট ম্যাকগার্ক। যিনি ৫ জানুয়ারি থেকে এ অঞ্চলে ছিলেন এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন।
সূত্রমতে, ট্রাম্প বারবার সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, যদি তার ২০ জানুয়ারির শপথ গ্রহণের আগে হামাসের হাতে থাকা বন্দিদের মুক্তি না দেয়া হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে চরম পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, নভেম্বরে ইসরাইল এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর এই চুক্তিটি গতি পায় এবং গত ৯৬ ঘণ্টা ধরে আলোচনার পর এটি চূড়ান্ত হয়।
চুক্তির প্রথম পর্যায়ে হামাসের দিক থেকে একটি বাধা ছিল। তা হলো তারা কতজন জিম্মি আটক আছে বা জিম্মিদের মধ্যে কাদের মুক্তি দেয়া হবে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
ডিসেম্বরের শেষের দিকে হামাস জিম্মিদের তালিকা জানাতে সম্মত হয়, যা ইসরাইলের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চূড়ান্ত ধাপকে ত্বরান্বিত করে।
আরও পড়ুন:ইসরাইলি ৩ জিম্মির তালিকা দিলো হামাস
রোববার ( ১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের তালিকা না দেয়ায় যুদ্ধবিরতি আটকে যায়। অবশেষে হামাস তালিকা দেয়ার পর স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় গাজায়।
]]>