সোমবার (২ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নে সরেজমিনে ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, মাঠে পাকা ধান মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। অনেক জমিতে কেটে রাখা ধান পানিতে ডুবে গেছে। কেউ কেউ হাঁটু পানিতে নেমে ধান কাটছেন। ধান কেটে ডাঙায় করে পাড়ে আনছেন তারা।
জানা যায়, বৃষ্টির পানিতে জমির পাকা ধান তলিয়ে গেছে। এতে পাকা ধান চারা হয়ে যাচ্ছে। হাঁটু পানিতে নেমে আধা পাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: বোরো ধানে মাজরা পোকার হানা, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা
চাষিরা জানান, ঈদের পরে ধানকাটার কথা ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় ধান তলিয়ে গেছে। বাধ্য হয়েই পাকা-আধাপাকা ধান কাটতে হচ্ছে। ক্ষেতেই ধান থেকে চারা হয়ে যাচ্ছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে এখন ধান কেটে ফেলতে হচ্ছে। এতে ফলন কমে যাবে, পাশাপাশি শ্রমিক খরচও বেড়ে যাবে। আর্থিকভাবে লোকসানে পড়তে হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে বোরো ধানের ক্ষতির শঙ্কা
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় ২৩ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান জানান, বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ধান ও সবজির ক্ষেতে পানি রয়েছে। এখনও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সঠিক হিসাব নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।’