একের পর এক দুর্যোগে ঘুরে দাঁড়াতে হিমশিম অবস্থা দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি কাজে জড়িত হাজারো মানুষের। সম্প্রতি অতি বৃষ্টিতে আবারও নাজেহাল অবস্থা তাদের। ভেসে যায় মাছের ঘের, সপ্তাহব্যাপী পানিতে নিমজ্জিত ছিলো বর্ষাকালীন সবজি, অফ সিজন তরমুজের ক্ষেত, আউশ ধান এবং রোপা আমনের বীজতলা। বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হতে থাকে ক্ষতির চিত্র।
কৃষি ও মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মাসের অতিবৃষ্টিতে জেলায় ভেসে যায় সাড়ে ছয় হাজারের অধিক ঘের। প্লাবিত ছিল এগারোশো হেক্টর জমি। যাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা।
জলাবদ্ধতায় এমন ক্ষতির কারণ হিসেবে প্রাকৃতিকের চেয়ে মানবসৃষ্ট কারণকেই বেশি দুষছেন স্থানীয়রা। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
আরও পড়ুন: খুলনা মেডিকেলে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
আর সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে বিভিন্ন পরামর্শও দেন তারা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, অতি বৃষ্টিতে বেশ কিছু ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আমরা চাষীদের পরামর্শ দিচ্ছি।
বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মো রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। তাদের বীজ, সার সহায়তা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে খুলনায় জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে নগরবাসী
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, চলতি মাসে খুলনায় ৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
]]>