টাঙ্গাইলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ভাগ্য খুলছে তরুণ-তরুণীদের

১ দিন আগে
টাঙ্গাইলের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) বেকার তরুণ-তরুণীদের ভাগ্য পরিবর্তনের এক দুয়ার খুলেছে। এখানে বিভিন্ন মেয়াদী ৩২টি কোর্স চালু হয়েছে। কোর্স শেষে উন্নত দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে তৈরি হচ্ছে নির্ভরযোগ্য কর্মসংস্থান। তবে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জায়গার স্বল্পতা ও পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় ব্যহত হচ্ছে উচ্চ মানের প্রশিক্ষণ। এর দিকে নজর দিলে এক দিকে যেমন বেকারত্ব দূর হবে তেমনি বাড়বে দক্ষ জনশক্তি।

টাঙ্গাইল জেলায় ৪৪ লাখ মানুষের বসবাস। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের কর্মদক্ষতায় গড়ে তুলতে সকল বয়সের মানুষ ঝুঁকছেন টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। 

 

বিএমএটির নিয়মিত কোর্সে ৩৬০ ঘণ্টা মেয়ার্দে কম্পিউটার অপারেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েল্ডিং এ্যান্ড ফেব্রিক্যাশন, ড্রাইভিং,কনজুমারসহ চালু রয়েছে বিভিন্ন কোর্স। অ্যাসেট প্রজেক্টস্ চার মাস মেয়াদে ইলেকট্রিক্যাল ইন্সট্রলেশন এ্যান্ড মেইন্টেনান্স ট্রান্সপোর্ট, প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিংসহ চারটি কোর্স চালু রয়েছে। এক মাস, চার মাস ও ছায় মাস মেয়াদে রয়েছে কোরিয়ান ও জাপানিজ ভাষা শিক্ষা কোর্স। আইএলও প্রোগ্রেস প্রজেক্ট এর তিন মাস মেয়াদে রয়েছে ফুড অ্যান্ড বেবারেজ প্রডাকশন, হাউজ কিপিংসহ তিনটি কোর্স। এছাড়া সর্বমোট ৩২ টি কোর্স চালু রয়েছে।

 

এতে করে বিভিন্ন বয়সী বেকার মানুষজন, নিজেদের কর্মদক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারছে। কর্মসংস্থান তৈরিতে আত্মনির্ভরশীল হতে পারছেন। কেউ দক্ষকর্মী হিসাবে বিদেশে যাচ্ছে আবার অনেকেই উদ্যোক্তা হচ্ছেন।

 

প্রশিক্ষণার্থী ফরিদ আহমেদ বলেন, আমি ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশনে ট্রেনিং করছি। এখানে দক্ষ প্রশিক্ষক হাতে কলমে শিখিয়ে দিচ্ছে। আমার বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কোনো কারনে বিদেশে না গেলেও দেশেই রেস্টুরেন্ট দিবো।

 

আরও পড়ুন: চাহিদার শীর্ষে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, ১ আসনের জন্য লড়াই ২৫ জনের

 

হ্যাপী নামের আরেক প্রশিক্ষণার্থী জানান, ‘আমি পড়ালেখার পাশাপাশি ফুড এন্ড বেভারেজ প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। ভবিষ্যতে আমি উদ্যোক্তা হবো। এতে আমি সংসারে বাড়তি আয় করতে পারবো।’

 

প্রশিক্ষণরত জুয়েল জানায়, ‘আমি একাধিক কোর্স করেছি। বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।  বিদেশে যেতে পারলে বিভিন্ন জবের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

 

ট্রেইনার জাফর আহমেদ বলেন, বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তুলতে পরম যাতে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে এতে করে দেশের রেমিট্যান্স আয়ে গুরুর্তপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

 

টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘জায়গা স্বল্পতা ও পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় উচ্চ মানের প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সরকার কারিগরি প্রশিক্ষণের দিকে আরো বেশি নজর দিলে এক দিকে যেমন বেকারত্ব দূর হবে অন্যদিকে দক্ষ জনশক্তি হয়ে বিদেশে গেলে রেমিট্যান্স যোদ্ধা হয়ে দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে ভালো অবদান রাখতে পারবে।’

 

আরও পড়ুন: এসএসসি শেষে প্রশিক্ষণ পাবে ৬ হাজার পরীক্ষার্থী: ড. আসিফ নজরুল

 

তিনি জানান, বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে লেভেল ওয়ান ও লেভেল টু চালু রয়েছে। লেভেল থ্রি ও ফোর চালু করতে অবকাঠামো, প্রশিক্ষণের যন্ত্রপাতি এবং শিক্ষক প্রয়োজন। লেভেল থ্রি-ফোর চালু হলে শিক্ষার্থীরা দুই লাখ থেকে তিন লাখ টাকা বেতনে চাকরির সুযোগ পাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে।

 

চলতি ৩২টি কোর্সে শিক্ষার্থী রয়েছে মোট ৮০৯ জন। গত অর্থবছরে মোট শিক্ষার্থী ছিলো ২০৮৪। কৃতকার্য হয়েছে ১৪৩১ জন। এতে দেশেই কর্মসংস্থান হয়েছে ৬৪২ জনের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন