সোমবার (১৬ জুন) ইউনিয়ন পরিষদে স্মার্ট কার্ড বিতরণে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার তাকে আটক করে সেনাবাহিনী।
আটক রাশেদুল ইসলাম (৫৫) উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বনাথ এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ শাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, টেপামধুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ফ্যামিলি কার্ড (টিসিবি) উপকারভোগীদের মাঝে মঙ্গলবার স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম ফ্যামিলি কার্ড টিসিবি বিতরনের বিপরীতে উপকারভোগীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে বসতবাড়ির ট্যাক্সের তিনশত টাকা আদায় করেন। অনেকের কাছ থেকে একই অর্থ বছরে দুইবার ট্যাক্সের টাকা আদায় করা হয়েছে। এক পর্যায়ে উপকারভোগীরা স্মার্ট কার্ড বিতরণের বিপরীতে বসতবাড়ির ট্যাক্স এবং বেশী টাকা আদায়ের প্রতিবাদ করলে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত লোকজন। স্থানীয়রা উপকারভোগীদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানায় করেন। পরে বিকেলে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপকারভোগীদের জিম্মি করে ট্যাক্সের টাকা আদায়ের সত্যতা পাওয়ায় ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলামকে আটকের পর থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন।
আরও পড়ুন: যশোরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসে ইউপি চেয়ারম্যান আটক
ওই ইউনিয়নের রাজিব গ্রামের উপকারভোগী নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমার কাছে থেকে গত অক্টোবরে টিসিবির কার্ডের জন্য বসতবাড়ির ট্যাক্স একশত টাকা নিয়েছে। একই অর্থবছরে স্মার্ট কার্ড নেওয়ার সময় আবার বসতবাড়ির ট্যাক্স তিনশত টাকা নিয়েছে। আমাদের জিম্মি করে ট্যাক্স আদায় করে, এটা চাঁদাবাজি। তিনি বলেন, শুধু তার কাছেই নয়, ইউনিয়নের সব শ্রেণীর উপকারভোগীদের জিম্মি করে বসতবাড়ির ট্যাক্সের নামে বেশি বেশি করে টাকা আদায় করা হয়েছে।’
তবে অভিযুক্ত রাশেদুল ইসলাম বলেন, টিসিবি স্মার্ট কার্ড বিতরণে ট্যাক্সের টাকা রশিদ মূলে নেওয়া হয়েছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ শাহ বলেন, এ ব্যাপারে উপকারভোগী নুরুজ্জামান বাদী হয়ে রাশেদুল ইসলামকে আসামি করে চাঁদাবাজির ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রংপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক বলেন, তিনি কিছুই জানেন না। তাকে জানানো হয়নি। থানার ওসি সঙ্গে কথা বলে জানতে পারবেন।