‘টাকা না পেয়ে কনেকে নেয়া হবে না’ বলেই হামলা চালিয়ে খাল সাঁতরে পালাল বরপক্ষ

৩ সপ্তাহ আগে
ভোলার লালমোহনে যৌতুকের টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার না পেয়ে আপ্যায়ন অনুষ্ঠানে কনেপক্ষের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠেছে বরপক্ষের বিরুদ্ধে। হামলার পর খাল সাঁতরে পালিয়ে যান বরপক্ষের সবাই। এ ঘটনায় কনের মা, বাবা, বোন ও চাচা আহত হয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জনু) দুপুরে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোলপাড় এলাকার আনা মিয়া কালু বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

কনের ফুফু মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত ঈদুল ফিতরের সময় তার ভাই মো. বিল্লালের বড় মেয়ে সালেহা বেগমের সঙ্গে লালমোহন পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মালেকের ছেলে মো. রুবেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তখন বরপক্ষ যৌতুক হিসেবে নগদ ২ লাখ টাকা এবং ২ ভরি স্বর্ণ দাবি করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কনেকে উঠিয়ে নিতে আমাদের বাড়িতে আসেন বরপক্ষের লোকজন। তাদের সঙ্গে কথা ছিল দুপুরে ৫০জন খাবেন। কিন্তু তারা এসেছেন ৬৫জন। বরপক্ষ আসবে শুনে বাড়ির ছোট ছোট মেয়েরা গেট তৈরি করে। তবে বরপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসেই উত্তেজিত হয়ে বলেন, আগে যৌতুকের টাকা ও স্বর্ণ দিতে হবে। তারপর খাবার খেয়ে তারা কনেকে নেবেন।

 

আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়ির খাবারে চেতনানাশক, বর-কনেসহ অজ্ঞান ১৬

 

তিনি আরও বলেন, কনের বাবা তখন বলেন বাকি টাকা এবং স্বর্ণের জন্য সময় চান।  তখন ছেলের বাবা জবাবে বলেন, বিড়ির টাকা বাকি থাকলেও কনেকে নেয়া হবে না।

 

একপর্যায়ে বরের বড় ভাই মো. হাসান গেট ও চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় বরের সঙ্গে আসা অন্তত ৮-১০ জন কনের পরিবারের লোকজনকে চেয়ার দিয়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তারা খাওয়া-দাওয়া না করেই কেউ খাল সাঁতরে ও কেউ নৌকা দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

 

আরও পড়ুন: ঘোড়ায় গিয়ে পালকিতে ফিরলেন বর-কনে, অতিথি এলেন হেলিকপ্টারে!

 

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে বর মো. রুবেল জানান, আমি পেছনে ছিলাম। তবে গেটে আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে কি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে তা আমি জানি না।

 

এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, হামলায় আহত হয়ে কনে পক্ষের লোকজন থানায় আসলে চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হয়ে তারা লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন