টপ-অর্ডারের ব্যর্থতায় সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হারলো বাংলাদেশ

১ সপ্তাহে আগে
আবারও টপ-অর্ডারের ব্যর্থতার মাশুল গুণতে হলো বাংলাদেশকে। লিটন-তামিম-সাইফদের ব্যর্থতায় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬ রানে হেরেছে স্বাগতিকরা। চট্টগ্রামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই টপ-অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। তানজিম হাসান সাকিবের ৩৩ ও নাসুমের ২০ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরুও পায় সফরকারীরা। শেষ দিকে শাই হোপ ও রোভম্যান পাওয়েলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে র্নিধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।   

 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লেতেই টপ-অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফিরেছেন ৫ বলে ১৫ রান করে। লিটন, সাইফ ও শামীম- কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর।  

 

স্কোরবোর্ডে ১৬ রান যোগ হতেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ বলে ১৫ রান করে সিলস-এর বলে শেফার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার।

 

তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ফেরেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৮ বলে ৫ রান করে আকিল হোসেনের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন টাইগার কাপ্তান। এরপর সাইফ হাসানও ফেরেন দ্রুতই। ৭ বলে ৮ রান করা এই ওপেনারকে শেফার্ডের ক্যাচ বানান আকিল হোসেন। 

 

আরও পড়ুন: ভারত সিরিজ দিয়ে দলে ফিরলেন অধিনায়ক বাভুমা

 

শামীম হোসেন পাটওয়ারী ও নুরুল হাসান সোহানও ফিরেছেন দ্রুত। ৪ বলে ১ রান করে শামীম ফিরেছেন হোল্ডারের বলে বোল্ড হয়ে। আর ১০ বলে ৫ রান করা সোহানকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান পিয়েরে। 

 

দলের হাল ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তাওহীদ হৃদয়। ২৫ বলে ২৮ রান করে ফেরেন সিলস-এর বলে আকিল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৭৭ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে নাসুমকে সাথে নিয়ে লড়াই করেন তানজিম হাসান সাকিব। দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ২৩ বলে ৪০ রান। 

 

২৭ বলে ৩৩ রান করে হোল্ডারের বলে রস্টন চেজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। পরের ওভারেই ফেরেন নাসুমও। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২০ রান। রিশাদ ফেরেন ৩ বলে ৬ রান করে। 

 

শেষ উইকেট জুটিতে ১৩ বলে ২০ রান যোগ করেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে রোমারিও শেফার্ডের বল বাউন্ডারি লাইনের বাইরে পাঠিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু সেই শট খেলার সময় তাসকিনের পা গিয়ে লাগে স্টাম্পে। আর তাতেই হিট আউট হন এই ব্যাটার। আরেক প্রান্তে মোস্তাফিজুর অপরাজিত থাকেন ৮ বলে ১১ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সিলস ও জেসন হোল্ডার নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। আকিল হোসেন নিয়েছেন ২টি, পিয়েরে ও শেফার্ড নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। 

 

আরও পড়ুন: আইসিইউতে ভর্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যান শ্রেয়াস আইয়ার

 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৫৯ রান যোগ করেন দুই ওপেনার আলিক অ্যাথানেজ ও ব্র্যান্ডন কিং। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাথানেজকে ফেরান রিশাদ হোসেন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ৩৪ রান। 

 

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২৩ রান যোগ করেন ব্র্যান্ডন কিং ও শাই হোপ। তাসকিন আহমেদের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে তানজিম হাসান সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্র্যান্ডন কিং। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৩ রান। পরের বলেই ফেরেন রাদারফোর্ড। উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। 

 

তৃতীয় উইকেট জুটিতে শাই হোপ ও রোভম্যান পাওয়েল মিলে যোগ করেন ৪৬ বলে ৮৩ রান। দুজনেই শেষ পর্যন্ত থাকেন অপরাজিত। শাই হোপ নটআউট থাকেন ২৮ বলে ৪৬ রান করে। অন্য প্রান্তে ২৮ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন পাওয়েল। তাদের দুজনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই নির্ধারিত ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ নেন ২টি উইকেট। আর রিশাদ হোসেন নেন ১ উইকেট।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন