পলাতক আসামির নাম শান্ত; তিনি ওই বস্তির আলালের ছেলে এবং ছিনতাই, চুরি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছিনতাইকৃত একটি মোবাইলফোন উদ্ধারের অভিযানে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ কেরানীরটেক বস্তি এলাকায় তল্লাশি করে। ওই সময় বস্তির একটি ঘর থেকে হৃদয় ও শান্ত নামের দুই কিশোরকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ সদস্যরা তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ পরায়। এসময় বস্তির বাসিন্দা কুলসুমের নেতৃত্বে কয়েকজন নারী পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। সেই সুযোগে শান্ত হ্যান্ডকাফসহ ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে খোঁজাখুঁজিতে শান্তর আর হদিস পাওয়া যায়নি।
প্রায় একাধিক পুলিশ সদস্য ও এলাকাবাসী তল্লাশী চালিয়ে চলে। প্রায় এক ঘণ্টা পর বস্তির এক শীর্ষ মাদক কারবারি কারিমা হ্যান্ডকাফটি উদ্ধার করে পুলিশকে ফেরত দেন বলে জানান স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে রেলস্টেশনে ২ মরদেহ উদ্ধার
টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘একটি মোবাইল ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে হৃদয়কে গ্রেফতার করতে আমরা সেখানে যাই। সেখানে হৃদয়ের ঘরে শান্তকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাই। ছিনতাইকারী সন্দেহে তাকে আটক করা হয়েছিল, কিন্তু কয়েকজন নারী পুলিশের ওপর বাধা সৃষ্টি করলে শান্ত জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।’ তিনি জানান, পরে কারিমা হ্যান্ডকাফটি ফেরত দিয়েছে।
ঘটনার পর নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার হৃদয়সহ তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)) মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া আসামি শান্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
]]>