পুলিশের দাবি গারদখানায় অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তিনি মারা যান। নিহত রনি মিয়ার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত রনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মিরেরব্যতকার এলাকার বাসিন্দা কালু মিয়ার ছেলে। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন বড় দেওড়া ফকির মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে রনিকে তার স্ত্রী নিলুফা, স্থানীয় সোহেল (৪০) ও নুর ইসলাম (৩৮) পানির পাম্প ও কিছু পাইপসহ থানায় নিয়ে যান। তারা অভিযোগ করেন, রনি মাদকের টাকা জোগাড় করতে নিয়মিত চুরি করেন। এ সময় জব্দ করা সামগ্রীসহ রনিকে আটক দেখিয়ে গারদখানায় রাখা হয়।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে রনি গারদের ভেতর বাথরুমে যান। দীর্ঘসময় বাইরে না আসায় ডিউটি অফিসারের সন্দেহ হলে ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, তিনি পড়ে আছেন এবং তার একটি পা কমোডে আটকে আছে। দ্রুত তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রনিকে চুরির অভিযোগে দুপুরে থানায় আনা হয়। সন্ধ্যার দিকে গারদের ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।