ঝিনাইদহের পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বন্ধ সিজারিয়ান অপারেশন

৩ সপ্তাহ আগে
চিকিৎসক সংকটে ঝিনাইদহের মহেশপুর, হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বন্ধ হয়ে গেছে সিজারিয়ান অপারেশন।

প্রসূতিদের বাধ্য হয়ে ছুটতে হচ্ছে দূরের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে। এতে একদিকে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়, অন্যদিকে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন মা ও নবজাতক।

 

জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় এক বছর ধরে সিজারিয়ান বন্ধ। একই পরিস্থিতি অন্য চার উপজেলাতেও। এনেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ ও গাইনি চিকিৎসকের অভাবেই এসব সেবা বন্ধ রয়েছে। অথচ হাসপাতালগুলোতে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্যালাইন স্ট্যান্ডসহ সব সরঞ্জাম প্রস্তুত আছে।

 

মহেশপুরের গৃহবধূ শিরিন আক্তার বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে গেলে খরচ কম হতো, কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে দূরের এক ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। তাতেও চিকিৎসক সবসময় থাকেন না।’

 

কালীগঞ্জের কৃষক রহমত আলী অভিযোগ করেন, ‘সরকারি হাসপাতালেই যদি চিকিৎসা না পাই, তাহলে আমরা যাব কোথায়? ডাক্তার না দিলে গরিব মানুষরা আরও কষ্টে পড়বে।’

 

আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্তে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

 

হরিণাকুন্ডুর ফারজানা খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ক্লিনিকে গেলে অন্তত ২৫–৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। গরিব মানুষ কীভাবে এই টাকা জোগাড় করবে? তারপরও বাধ্য হয়ে ক্লিনিকেই আসতে হচ্ছে।’

 

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সব উপজেলাতেই অপারেশনের যন্ত্রপাতি আছে। সমস্যা হচ্ছে চিকিৎসক সংকট। পদায়ন হলেই আবারও সিজারিয়ান চালু করা সম্ভব হবে।’

 

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শুধু এই পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক থাকলে প্রতি মাসে অন্তত ২০০ প্রসূতি সরকারি সেবা পেতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সিজারিয়ান বন্ধ থাকায় পরিবারগুলো চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন