আহত কিরণ মোস্তফা গাজী টিভির জ্যেষ্ঠ নিউজ রুম এডিটর ও একই এলাকার বাসিন্দা।
আহত সাংবাদিকের ভাই কামরুজ্জামান জানান, ছুটিতে থাকা সাংবাদিক কিরণ মোস্তফা সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে মহেশপুর উপজেলা শহরে যাচ্ছিলেন। পথে পৌরসভার মডেল মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মহেশপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শামসুল গাজী, একই এলাকার আলমগীর, ইকরামুল খাঁ, তুহিন খাঁ, খালিদসহ ১০/১২ জন হামলা চালায়।
হামলাকারীরা লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে কিরণ মোস্তফাকে পিটিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় যুবদল ও ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখম
স্বজনদের অভিযোগ, এলাকার শামসুল গাজী, আলমগীর, ইকরামুলসহ আরও কয়েকজন কিছুদিন আগে সংখ্যালঘু ও কিরণ মোস্তফার জমি দখল করে খেলার মাঠ বানানোর চেষ্টা করেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা করলে মামলা তুলে নিতে প্রায় হুমকি দিতেন তারা।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ আহম্মেদ বলেন, ‘হামলার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। আহত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মামলা দিয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’