মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ভোরে ভুক্তভোগী আজিজুল হক লেফুর পুকুরে প্রতিবেশী তাজমুল বিন মোফাজ্জল ওরফে সাদ্দাম ও ছানাউল হক মিলে ওই পুকুরে বিষ ঢেলে দিয়ে মাছগুলো নিধন করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
জানা যায়, ৩৭ শতাংশ জলকরের একটি পুকুরে আজিজুল হক লেফু রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন ধরনের মাছের পোনা ছাড়েন। এছাড়া পোনা মাছগুলো পালনের জন্য আরও ২০ হাজার টাকার খাদ্য ও ওষুধ প্রয়োগ করেন। এতে সব মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে পুকুরটিতে। বর্তমানে মাছগুলোর ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত।
এরইমধ্যে গাছপালা কেটে দেওয়া ও বেড়া ভাঙচুরের ঘটনায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই দুজনের বিরুদ্ধে কালাই থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আজিজুল হক। এরপর থেকে তারা দুই ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগীর পুকুরে বিষ মিশিয়ে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ২ মাদকসেবীর কারাদণ্ড
পুকুরের মালিক আজিজুল হক বলেন, ‘বিরোধ গাছ কাটা ও বেড়া ভাঙচুর নিয়ে। বিনা অপরাধে কেন ওরা আমার পুকুরে বিষ দিয়ে মাছগুলো মেরে ফেরল। আমি এর বিচার চাই।’
প্রতিবেশী স্বাধীন ও লিটন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পুকুরের মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ভাইকে নিয়ে থানায় সালিশও হয়েছে। তারপর থেকে তাদের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। তারা যে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছগুলো মেরে ফেলেছে, তা বলতে আর সন্দেহ নেই। দুই ভাইয়ের কঠোর শাস্তির দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ধর্মসাগর দিঘিতে মিলল সাগরের কোরাল মাছ
অভিযুক্ত তাজমুল বিন মোফাজ্জল ওরফে সাদ্দাম বলেন, ‘একটি ঘটনায় পূর্ববিরোধ আছে, এটা সত্য। তবে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। আমাদের দুই ভাইকে ফাঁসানোর জন্য এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।’
কালাই উপজেলা মৎস কর্মকর্তা তৌহিদা মহতামিম বলেন, ‘মাছ মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এ পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেই মাছ নিধন করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মাছ নিধনের কথা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’