সোমবার (৯ জুন) দুপুরে যশোরের বৃহৎ চামড়ার হাট রাজারহাট পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরিদর্শনকালে তিনি চামড়ার আড়তদারদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ট্যানারি মালিকরা যাতে উপযুক্ত মূল্যে চামড়া কিনতে পারে সেজন্য তাদের প্রণোদনা হিসেবে ২২০ কোটি টাকা দিয়েছে। এমনকি কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানির দ্বার খুলে দিয়েছে সরকার। এরপরও যদি তারা চামড়ার সঠিক দাম না দেয়া তাহলে জেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরাই সরাসরি রফতানি করতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: পচা চামড়া নিয়ে অপপ্রচার চালাবেন না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘সরকার চামড়া বাজার ব্যবস্থাকে অন্তভূর্ক্তিমূলক করে দিয়েছে। সরকারের পদক্ষেপের কারণে বহির্বিশ্বে আমাদের চামড়ার চাহিদা সৃষ্টি হবে। ফলে শুধু সরকারের উপর দায় চাপিয়ে দিলে হবে না। বর্তমান সরকার চামড়া বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তা এর আগে নেয়া হয়নি। ফলে মাদ্রাসা থেকে চামড়া সংগ্রহ ও বাজারে কেনাবেচায় সমন্বয় তৈরি হলে সরকার নির্ধারিত দামের থেকেও বেশি দামে চামড়া বেচাকেনা হবে বলে আশা করছি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কোনো কিছুই মনিটরিং করবো না। সরকার উপযোগিতা সৃষ্টি করে দিয়েছে। এখন কেউ যদি অনাগ্রহ দেখায় তাতে সরকারের কিছু করার নেই। কারণ সরকার এতিমখানা মাদ্রাসার স্বার্থের পাশাপাশি দেশের চামড়া শিল্পের ভবিষ্যৎ রক্ষায় কাজ করছে। গত ১৫ বছরে চামড়া খাতে যে অধঃপতন হয়েছে, নৈরাজ্য ও সিন্ডিকেট হয়েছে তা ভেঙে দিতেই সরকার কাজ করছে। এজন্য আমি সারাদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি। আশাকরি আল্লাহ বরকত দিবেন।’
চামড়ার হাট রাজারহাট পরিদর্শনকালে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাগণ তার সঙ্গে ছিলেন।