ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত শেহজাদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বয়ানে দোষ স্বীকার করে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমিই করেছি।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে শেহজাদ প্রসঙ্গে সিনিয়র পুলিশ অফিসার দীক্ষিত গেদাম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন,
শেহজাদ একজন বাংলাদেশি নাগরিক। তার কাছে কোনো ভারতীয় কাগজপত্র নেই।
পুলিশ অফিসার দীক্ষিত আরও বলেন,
শেহজাদের কাছে পাওয়া যেসব কাগজপত্র পাওয়া গেছে তাতে বোঝা যায়, তিনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক। নাম পরিবর্তন করে বিজয় দাস হয়ে গত চার মাস ধরে তিনি মুম্বাইয়ে বাস করছেন।
আরও পড়ুন: সাইফের ওপর হামলা চালানো অভিযুক্ত ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে
এদিকে শেহজাদের আইনজীবী শেরখান বলেছেন,
শেহজাদ চার মাস নয় বরং দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে বসবাস করছেন। ভারতে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রই তার রয়েছে। শুধু তাই নয়, শেহজাদের পরিবারও ভারতেই থাকেন।
৩০ বছর বয়সী শেহজাদকে সাইফের বাড়ির ৩৫ কিলোমিটার দূর থেকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাকে বান্দ্রার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বর্ণনা দিলেন অটোচালক
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফ আলি খান। হামলার পর রক্তাক্ত সাইফকে ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে।
সেখানে সফল অস্ত্রোপচার শেষে এখন লীলাবতী হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিচ্ছেন সাইফ। আগামী ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল ছাড়তে পারেন ভারতের ছোট নবাবখ্যাত এ বলিউড তারকা।
]]>