‘জেন-জি বিক্ষোভে’ জ্বলছে নেপাল, সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে উচ্চ সতর্কতা

৩ সপ্তাহ আগে
নেপালে চলমান সহিংস বিক্ষোভের মধ্যে, উত্তর প্রদেশ সরকার হিমালয়ের এই দেশটির সাথে সংযুক্ত সাতটি সীমান্তবর্তী জেলায় পুলিশ প্রশাসনকে উচ্চ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

নেপালে তরুণদের কয়েকদিন ধরে চলা সহিংস সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জেরে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হল।

 

দুর্নীতি এবং বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে নেপালের জেন-জি সদ্যদের ব্যাপক বিক্ষোভের পর প্রধানমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

 

আরও পড়ুন:‘জেন-জি বিক্ষোভ’ / নেপালের কান্তিপুর টিভির সদর দপ্তরে আগুন

 

পুলিশের মহাপরিচালক (ডিজিপি) রাজীব কৃষ্ণ শ্রাবস্তী, বলরামপুর, বাহরাইচ, পিলিভীত, লখিমপুর খেরি, সিদ্ধার্থনগর এবং মহারাজগঞ্জে সার্বক্ষণিক নজরদারি, টহল জোরদার এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন।


এদিকে, নেপালে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের সহায়তার জন্য লখনউয়ের পুলিশ সদর দপ্তরে একটি বিশেষ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরসহ তিনটি হেল্পলাইন নম্বর  24×7 চালু থাকবে - 0522-2390257, 0522-2724010, এবং 9454401674 (9454401674 নম্বরেও হোয়াটসঅ্যাপ)।


উত্তর প্রদেশের পুলিশ, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং নেপালে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদানে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) অমিতাভ যশ।

 

কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, ভারত-নেপাল সীমান্ত বন্ধ করা না হলেও, নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। 

 

এর আগে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং আরও বেশ কয়েকটি শহরে সহিংস সংঘর্ষের মধ্যে বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবন, শীতল নিবাসে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং শীর্ষ নেতাদের বাসভবনে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। 

 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, পুলিশের গুলি ও সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত এবং ৫০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

 

রাজস্ব এবং সাইবার নিরাপত্তার উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব সহ ২৬টি প্রধান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করার সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে এই অস্থিরতা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। 

 

আরও পড়ুন:নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেন-জিদের পছন্দ র‌্যাপার বালেন্দ্র

 

যদিও পরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল, তবুও এই কঠোর ব্যবস্থা জনসাধারণের ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে তোলে, বিক্ষোভকারীরা দুর্নীতির অবসান এবং শাসনব্যবস্থায় আরও জবাবদিহিতার দাবি করে।

 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন