শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে পঞ্চগড়ের ব্যারিস্টার বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করে তারা।
মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শহরের শেরে বাংলা পার্ক চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে পথসভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আবুল বাশার বসুনিয়া, তোফায়েল প্রধান, জুলফিকার রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি, শহীদ আবু ছায়েদের ছেলে মামুন ইসলাম ও জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি রাশেদ ইসলাম।
ছাত্রশিবিরকে গুপ্ত সংগঠন বলে আখ্যা করে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এ সময় বক্তারা বলেন, ‘দেখুন আজ পঞ্চগড়ের সড়ক ছাত্র শিবিরের দখলে। ছাত্রশিবির কখনো অন্যায়কে মেনে নেয় না। গত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে গিয়ে আন্দোলন করেছি। ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের সাথে যোগ দিয়ে আন্দোলন করেছে ছাত্রশিবিরের ছেলেরা। এখন ভিন্ন খাতে বিষয়টিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটা সফল হবে না।’
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল
বক্তারা বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের এক বছর হতে চললেও জুলাই হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখা যাচ্ছে না। ইন্টিরিম সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এখনও স্বৈরাচারের দোসরেরা পঞ্চগড়ে দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না। অথচ কেউ অভিযোগ দিলেই বিএনপি জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের পুলিশ গ্রেফতার করতো। নানা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিত।’
খুনি হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বিগত দিনে যেভাবে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। আগামীতেও ফ্যাসিবাদের উত্থান হলে তাদেরকে প্রতিহত করবে ছাত্রশিবির। বক্তারা অবিলম্বে হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসির দাবি জানান।
একই সঙ্গে দ্রুত জুলাই সনদ ঘোষণার দাবি তোলেন তারা। অন্যথায় জুলাই সনদ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের জন্য রাজপথে আবারও আন্দোলন সংগ্রাম করবে ছাত্র শিবির।
]]>