‘জুলাই যোদ্ধাকে’ হত্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে

গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলায় জেল খাটছেন নরসিংদীর শাহ জালাল নামে এক যুবদলকর্মী। স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের কোন্দলের ফলে এক পক্ষের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে তাকে মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে মাধবদী থানার ওসির বিরুদ্ধে।

উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফাঁসানো মামলায় জেল খাটছেন দাবি করে এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে নরসিংদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা।


সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে বড় ভাই আমির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় বিএনপির মোসাদ্দেক গ্রুপ এবং লাল মিয়া মেম্বার গ্রুপের দ্বন্দ্ব হয় বাস কাউন্টার দখল নিয়ে। এ দ্বন্দ্বের জেরে বেশ কয়েকটি মামলা হয় মাধবদী থানায়। এসময় এক পক্ষের সমর্থক হওয়ায় মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দিনমজুর শাহ জালালকে গ্রেফতার করা হয়। সেই দুই মামলায় শাহ আলম জামিন লাভ করলেও পুনরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলায় আসামি করে জেলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় লাল মিয়া গ্রুপের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারাও জড়িত বলে দাবি ভুক্তভোগীর পরিবারের।


তবে এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানিয়েছেন মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।


অতিদ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং মূল দোষীদের বিচার দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এসময়, ভুক্তভোগীর বাবা শুক্কুর আলীসহ পরিবারের সদস্য এবং জুলাই আন্দোলনে শাহ জালালের সঙ্গে অংশ নেয়া জুলাইযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

]]>