শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে শাহ আলী মাজারে জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স আয়োজিত ‘গণমানুষের জাগ্রত জুলাই’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা জানান।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা জুলাই জাদুঘর করছি, সাধারণত জাদুঘর যেমন হয় এটা এমন হবে না। এ যাদুঘরে যারাই যাবেন তারা জুলাই-আগস্টের বেদনার ভেতর দিয়ে ভ্রমণ করবেন। আমার বিশ্বাস, যখন জাদুঘর দেখে বের হয়ে আসবেন তখন তিনি হাঁটতে পারবেন না, তার পা ভারি হয়ে আসবে। আমরা চেষ্টা করবো জুলাই যাদুঘরে যেন আপনাদের সমস্ত বেদনা লিপিবদ্ধ থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্বজন ও আহতদের কথা শুনলে যে, আমরা বিধ্বস্ত হয়ে যাই, প্রচণ্ড বেদনার্ত লাগে, এ অনুভূতিটা থাকা ভালো। এ জাতি যতদিন এ বেদনা মনে রাখবে ততদিনই ঠিক পথে থাকবে। এ বেদনা ভুলে গেলেই আমরা আবার ভুল পথে চলে যাবো।’
জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিবারকে পুনর্বাসনের কাজ শতভাগ সফল হছেন মনে করেন না জানিয়ে ফারুকী বলেন, ‘এর অনেক কারণ রয়েছে। কখনও রিসোর্সের সীমাবদ্ধতা, কখনও পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা। কিন্তু একটা জিনিস আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আমাদের ইচ্ছায় কোনোরকমের কমতি নেই।’
আরও পড়ুন: উপর থেকে চাপ দিয়ে রাষ্ট্র গঠন করা যায় না: ফরহাদ মজহার
অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মিরপুরে শহীদ মো. নাদিমের স্ত্রী তাবাসসুম আক্তার নিহা ও শহীদ মেহেরুন নেছা তানহার বাবা মোশাররফ হোসেন।
জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ রোমেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, মিরপুরে আন্দোলনে আহত মাহফুজুর রহমান, আবুল বাসার সোহেল, সম্মুখ সারির যোদ্ধা আলী নুর, কবি নকিব মুকশি, হাসনাত শোয়েব, জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের সদস্য তৌফিক হাসান, হুমায়ুন শফিক, উদয় হাসান ও মিলন হোসেন।
]]>