মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে সাংবাদিকদের এ প্রতিক্রিয়া জানান তারা।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানকে রিক্রিয়েট করা, সেলিব্রেট করা, জুলাই ঐক্যকে তুলে ধরা খুব প্রয়োজন ছিল। রাষ্ট্র ভবিষ্যতে কোন লক্ষ্যে ধাবিত হতে চায়, তরুণ সমাজের আকাঙ্ক্ষা কী, গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা কী–সবকিছুই আমরা এখানে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পেরেছি। গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি যারা ছিল, সেই সব রাজনৈতিক দল এসেছে–এটা অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার। আমরা বিশ্বাস করি সবার প্রত্যাশা প্রতিফলিত হয়েছে।’
মাহফুজ আলম বলেন, ‘সো ফার সো গুড। সরকারে থাকা অবস্থায় আমি কমেন্ট করবা না। গতকালের এক কমেন্ট নিয়ে আমি বিপদে আছি। সো ব্যাটার হচ্ছে, আমরা গুছিয়ে লিখতে পারব যখন, তখন লিখব। এতদূর পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ। অনেক বড় জার্নি ছিল।’
তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল এসেছে–এটা অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার। একটা দীর্ঘ সময় যদি আমরা এভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের জন্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের জন্য; তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছি, সেটা সম্ভব হবে।’
এদিকে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, এই ঘোষণাপত্রে দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার তেমন কোনো প্রতিফলন হয়নি।
অন্যদিকে জুলাই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
আরও পড়ুন: এই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে আমরা হতাশ: ডা. তাহের
ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে সাংবাদিকদের এ প্রতিক্রিয়া জানান দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র হয়েছে এটাকে স্বাগত জানাই। ভালোভাবে পড়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। এটা যে হয়েছে সেটাকে অভিনন্দন।’
এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।