সিআইডির রিমান্ড প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুবিনকে তার ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং ‘নর্থইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এর আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেন এবং ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে সাজানোর চেষ্টা করেন।
পুলিশ রিমান্ডে শেখর জ্যোতি জানান, ঘটনাস্থলে সিদ্ধার্থ শর্মার আচরণ ছিলো সন্দেহজনক। জুবিন যখন শ্বাস নিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, বিষয়টিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যভাবেই দেখেন সিদ্ধার্থ। এমনকি চালককে জোর করে সরিয়ে ইয়টের নিয়ন্ত্রণও নেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের ময়নাতদন্তে জানা গেল জুবিনের মৃত্যু রহস্য
পুলিশি নোটে শেখর জ্যোতির বয়ান থেকে স্পষ্ট, বিদেশের মাটিতে হত্যাকাণ্ডের সত্য গোপন রাখতে ম্যানেজার সিদ্ধার্থ ও আয়োজক শ্যামকানু আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন।
জুবিনের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের প্রত্যেককে নেয়া হয়েছে ১৪ দিনের রিমান্ডে।
আরও পড়ুন: জুবিন গর্গের মৃত্যু দুর্ঘটনা নাকি হত্যা?
এদিকে গত শুক্রবার প্রকাশিত ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়, সাঁতার কাটতে গিয়েই ডুবে মারা যান জুবিন। গায়কের স্ত্রী গরিমার হাতে সেই রিপোর্ট তুলে দেন সিঙ্গাপুর সরকার। মৃত্যুর তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় জড়িত কোনো ছবি বা ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে সিঙ্গাপুর পুলিশ।