বুধবার (২ জুলাই) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত জুন মাসে কমেছে দেশের রফতানি আয়। ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ২০২৪ সালের জুন মাসে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৬১ কোটি ৪ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক খাত
জুন মাসে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৭৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলারে। আর ২০২৪ সালের একই সময়ে এ আয় ছিল ২৯৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৮ শতাংশ
তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১৫৩ কোটি ৯৯ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ৪ দশমিক ০৪ শতাংশ কমেছে। এছাড়া ১২৪ কোটি ৭৭ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, জুন মাসে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে কৃষি পণ্যের রফতানি কমেছে। কমেছে হোম টেক্সটাইল এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিও। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৬৯ লাখ ডলারে।
এছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি কমেছে ১২ দশমিক ১২ শতাংশ। জুন মাসে রফতানি হয়েছে ৮ কোটি ৭২ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। আর কৃষি পণ্যের রফতানি আয় ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ১০ লাখ ডলারে। ২০২৪ সালের একই সময়ে যা ছিল ৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত জুনের প্রথম সপ্তাহে পবিত্র ঈদুল আজহায় দীর্ঘ ছুটির কারণে পণ্য রফতানি হয়নি। আবার মাসের শেষ দিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা–কর্মচারীদের কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে ২৬ ও ২৭ জুন আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। মূলত এই দুই কারণে জুনে পণ্য রফতানি কমেছে।
এদিকে সদ্যবিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮.৫৮ শতাংশ বেশি।